প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের গ্রাহকদের আধার তথ্য যাচাই করতে তাঁদের বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ বা চোখের মণির ছবি বা মুখের ছবি) তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু অভিযোগ, অনেক জায়গায় সিলিন্ডারের ডিস্ট্রিবিউটর নানা কারণ দেখিয়ে কিছু গ্রাহকের থেকে টাকা চাইছেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি) বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট জানাল, যাচাই প্রক্রিয়াটি নিখরচায় হবে। হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়াম কিছু না জানালেও, তাদের সূত্রের দাবি, সকলের নিয়ম এক। কোনও সংস্থার গ্রাহকেরই এ জন্য টাকা দেওয়ার কথা নয়। আইওসি-র বার্তা, ইন্ডেন গ্রাহকদের কাছে কেউ টাকা চাইলে সংস্থার টোল ফ্রি নম্বরে (১৮০০২৩৩৩৫৫৫) ফোন করে অভিযোগ জানাতে হবে। দ্রুত তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছে তারা। আইওসির গ্যাস ব্যবসার শাখা ইন্ডেন।
এ দিকে, ভারত পেট্রোলিয়ামের মতো আইওসি-ও অ্যাপের (ইন্ডিয়ান অয়েল ওয়ান) মাধ্যমে আধার তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সূত্রের খবর, গ্রাহক অ্যাপ দিয়ে নিজের ফোন থেকেই তা করতে পারবেন।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ভাবে সংস্থাকে গ্রাহকের গ্যাস সংযোগের সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে হয়। এই পরিষেবার খরচ ২৩৬ টাকা (জিএসটি নিয়ে)। সংস্থার স্বীকৃত হোস পাইপও পাঁচ বছর পরে বদলানোর কথা ১৯০ টাকায়। বহু গ্রাহক এই নিয়ম মানেন না। ফলে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। তবে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের সঙ্গে এর যোগ নেই। গ্রাহকের একাংশের অভিযোগ, কিছু ডিস্ট্রিবিউটর সেটাই করছে। টাকা দিয়ে বাধ্যতামূলক পরিষেবাগুলি নিতে কিংবা ওভেন কিনতে বলা হচ্ছে। না হলে বায়োমেট্রিক যাচাই সম্পূর্ণ করা হচ্ছে না। সংস্থা সূত্রের অবশ্য দাবি, যাঁরা সুরক্ষা বিধি মানেননি, তাঁদের তা করে নিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সে জন্য বায়োমেট্রিক যাচাই আটকে থাকার অভিযোগ তারা পায়নি।
ইন্ডেন ও ভারত পেট্রোলিয়ামের ডিস্ট্রিবিউটরদের সংগঠনের কর্তা যথাক্রমে বিজন বিশ্বাস এবং সুকোমল সেনেরও দাবি, বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই নিখরচায় হচ্ছে। তবে গত পাঁচ বছরে সুরক্ষা পরীক্ষাগুলি হয়নি, তাঁদের বাড়িতে সেটা সারতে কর্মীরা যাবেন বলে জানানো হচ্ছে। কিন্তু বায়োমেট্রিক যাচাই বন্ধ রাখা হচ্ছে না।