প্রতীকী ছবি।
তেলের দরের চড়া দামের ‘প্রতিবাদে’ নবান্নে যাতায়াতের জন্য সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈদ্যুতিক স্কুটারে সওয়ার হওয়ার ছবি দেখেছে সারা দেশ। এ নিয়ে চলছে চর্চা ও বিতর্ক। রাজনীতিতে ঢুকতে নারাজ গাড়ি শিল্পমহলের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন ওঠার পরে অনেকেই গাড়ি কেনা সময়ে বৈদ্যুতিকের কথা ভাবছেন। তেলের চড়া দামের জন্য সেই আগ্রহ আরও বেড়েছে। ডিলারদের সংগঠন ফাডার বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্য বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। তবে উপযুক্ত পরিকাঠামো-সহ আরও সহায়ক নীতি জরুরি। ভর্তুকি দিতে অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও পৃথক নীতি দরকার।
রাজ্যে ফাডার অন্যতম কর্তা রোহিত চৌধুরী জানান, বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়ছে। এ নিয়ে অনেকে খোঁজও নিচ্ছেন। একই দাবি কসবার রামলালবাজারে দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাগুইআটির নির্মল আগরওয়াল প্রমুখেরও। সৌম্য জানান, কম গতির ই-স্কুটারের ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগে না বলে মহিলা ও বয়স্কদেরও অনেকে তা কিনছেন।
নির্মল বলেন, ‘‘লকডাউন ওঠার পরে এ ধরনের গাড়ি বিক্রি হচ্ছিল। পরে কিছুটা কমলেও তেলের দাম বাড়ায় আবার খোঁজ নেওয়া বেড়েছে।’’ তবে ক্রেতার আস্থা বাড়াতে দ্রুত চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ায় জোর দিচ্ছেন বিক্রেতারা। রোহিত বলেন, ‘‘শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, জাতীয় সড়কে রাজ্য ও কেন্দ্র চার্জিং স্টেশন গড়লে মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে ভরসা পাবেন। সংস্থাগুলিকেও উদ্যোগী হতে হবে। তা হলে আরও বেশি মানুষ এই গাড়ি কিনবেন।’’
অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ির কর বেশির অভিযোগ উঠলেও রোহিতের দাবি, পেট্রল-ডিজেলের চেয়ে এখানে বৈদ্যুতিকে কর অনেক কম। তবে শিল্পের বক্তব্য, কেন্দ্রের পাশাপাশি কিছু রাজ্যও আলাদা নীতি চালু করে বাড়তি ভর্তুকি দিচ্ছে। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে পৃথক নীতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি কথা শুরু করলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। তা তৈরি হলে এবং ভর্তুকি দিলে ক্রেতা আরও বাড়বে বলে ধারণা ডিলারদের। আর মুখ্যমন্ত্রী ই-স্কুটারে সওয়ার হওয়ায় এ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আশাতেও রয়েছেন তাঁরা।