প্রতীকী ছবি।
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের চাহিদা ও সমস্যা বুঝে সেই মতো এগোতে তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ১২৫ জন শিল্পকর্তা ও প্রতিনিধির সঙ্গে সেই বৈঠকের পরে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার দাবি করে তিনি জানালেন, শীঘ্রই রাজারহাটে প্রকল্পের কাজ শুরু করবে ইনফোসিস। এই শিল্পে কয়েকটি নতুন প্রকল্পের দ্রুত মউ সইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের তরফে ‘ডেটা সেন্টার’ এবং আর্থিক সুবিধা নীতি তৈরি, বিদ্যুতের মাসুল হ্রাসের আর্জিও তাঁরা পেয়েছেন। ছ’মাস অন্তর এমন বৈঠক হবে।
বাম আমলের শিল্পায়ন কর্মসূচিতে ইনফোসিসের লগ্নি প্রস্তাব থাকলেও, নানা জটে সেটি থমকে যায়। সংস্থাটি বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের (সেজ়) তকমা পেতে আগ্রহী ছিল। তাতে আপত্তি ছিল বিরোধী তৃণমূলের। তারা ক্ষমতায় আসার পরে এ নিয়ে উদ্যোগী হন তৎকালীন শিল্প তথা তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থবাবু। কিন্তু বছর দশেক আগে রাজারহাটে সংস্থা ৫০ একর জমি পেলেও কাজ শুরু হয়নি। তিন-চার বছর আগে জমি ব্যবহারের শর্ত শিথিল করে রাজ্য। ৫১% জমি তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট থাকলেও, বাকি জমি ইনফোসিসের পরিকল্পনামাফিক ব্যবহারে সায় দেওয়া হয়।
রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে বিভিন্ন সংস্থা জমি নিয়েছে। বৈঠকের পরে সেই তথ্যের পাশাপাশি, ইনফোসিস প্রকল্পের কথাও জানান পার্থবাবু। বলেন, মঙ্গলবার সংস্থাটির কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ও দফতরের প্রধান সচিব রাজীব কুমারের কথা হয়েছে।
দেশ জুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডেটা সেন্টারের গুরুত্ব বাড়ছে। ইতিমধ্যেই রাজারহাটে রিলায়্যান্স জিয়ো-সহ কয়েকটি সংস্থা তা গড়তে জমি নিয়েছে। পার্থবাবু জানান, ইয়োটা এবং সিটিআরএল এমন কেন্দ্র তৈরি করবে। ডেটা সেন্টার গড়তে বিশেষ নীতি তৈরির জন্য রাজ্যকে আর্জি জানান শিল্পকর্তারা। মন্ত্রীর দাবি, খসড়া নীতি তৈরি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেলে ঘোষণা হবে।
সোনারপুরের হার্ডওয়্যার পার্কে মাইক্রোওয়েভস সলিউশন্সের সঙ্গে রাজ্যের শীঘ্র মউ সই নিয়েও আশাবাদী মন্ত্রী। তিনি জানান, আইটি পার্কগুলিতে জায়গা চেয়ে ৮৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। প্রায় দু’হাজার কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ওয়েবেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে স্মার্ট মিটার বসানো বা শব্দ দূষণরোধী যন্ত্রাংশ তৈরির প্রস্তাবও এসেছে।