Fuel

Fuel: বিকল্প জ্বালানি নিয়ে আরও সময় চায় শিল্প

শিল্পের বক্তব্য, দূষণ হ্রাসে নিয়ম মানার পক্ষে তারা। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হতে এখনও অনেক দেরি।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিল্পোৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েল ও পেট্রোলিয়াম কোকের (পেট কোক) জন্য হওয়া দূষণ রুখতে সেগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি)। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (সিপিসিবি) নির্দেশিকা মেনে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার শুরু করতে শিল্প মহলকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও। কিন্তু চাহিদা মতো প্রাকৃতিক গ্যাস বা বিকল্প জ্বালানির জোগানে অনিশ্চয়তার যুক্তিতে রাজ্যের কাছে এ জন্য বাড়তি সময়ের আর্জি জানিয়েছে শিল্পের একাংশ।

Advertisement

বছর চারেক আগে হরিয়ানা-সহ কয়েকটি রাজ্যে ফার্নেস অয়েল ও পেট কোক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একই পদক্ষেপ করতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অনুরোধ করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পর রাজ্যগুলিকে উদ্যোগী করতে সিপিসিবি-কে নির্দেশ দেয় এনজিটি। সিপিসিবি-র নির্দেশিকা মেনে পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বিকল্প জ্বালানির তালিকা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০২০ সালের নভেম্বরে। এবং জানায়, ১৮ মাসের মধ্যে হলদিয়া, কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুরসভা এলাকা ও কিছু জেলার একাংশে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার শুরু করতে হবে শিল্প সংস্থাকে। বাকি এলাকায় সেই সময়সীমা ২৪ মাস।

শিল্পের বক্তব্য, দূষণ হ্রাসে নিয়ম মানার পক্ষে তারা। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হতে এখনও অনেক দেরি। বিকল্প জ্বালানিগুলি হয় সব মেলে না, নয়তো সেগুলি ব্যবসায়িক ভাবে লাভজনক নয়। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান চেম্বারের সভায় সে প্রসঙ্গ তোলেন হলদিয়ার এমসিপিআই-এর (পূর্বতন মিৎসুবিসি কেমিক্যালস) এগ্‌জ়িকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ সি মিশ্র। গেলের কর্তারা জানান, হলদিয়া পর্যন্ত সংস্থার পাইপলাইন পৌঁছবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি। কিন্তু পর্ষদের সময়সীমা তার আগে শেষ হওয়ায় বাড়তি সময়ের আর্জি জানান মিশ্র।

Advertisement

বেঙ্গল চেম্বারের ডিরেক্টর অঙ্গনা গুহ রায়চৌধুরী জানান, এ নিয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে আরও দু’বছর সময় দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন। শিল্পের চিঠি প্রাপ্তির কথা মানলেও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরামর্শ, এ ব্যাপারে এনজিটি এবং সিপিসিবি-র কাছে আবেদন জানাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement