সার্বিক ভাবে বাজেটকে স্বাগত জানালেও, বিভিন্ন প্রস্তাব খুঁটিয়ে দেখার পরে বেশ কিছু কর-প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি তুলেছে শিল্পমহলের একাংশ। তাদের অভিযোগ, ‘অযৌক্তিক’ ভাবে পরিষেবা করের হার বাড়ানো হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। পাশাপাশি হিসেব দাখিলের যে-সব পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তা এ দেশে ব্যবসার খরচ ফের বাড়াবে বলেও দাবি তাদের।
পরিষেবা কর দাখিলের সময়য়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর তা জমা দিলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানা দিতে হয়। বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের কর সংক্রান্ত কমিটির দাবি, বাজেটে যে-প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে ১ অক্টোবর থেকে জরিমানার হার বাড়বে। নির্দিষ্ট সময়ের এক বছর পরে কর দিলে জরিমানা হবে ৩০%। ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে দেরি হলে তা হবে ২৪%। ছ’মাসের কম দেরিতে কর দিলে ১৮%। তাদের দাবি, এই হার অনেকটা বেশি ও অযৌক্তিক।
অ্যাসোচ্যামের পরোক্ষ কর কমিটির চেয়ারম্যান জে কে মিত্তল ও বণিকসভার সেক্রেটারি জেনারেল ডি এল রাওয়াতের অভিযোগ, বাজেটে দেওয়া এ রকম কিছু প্রস্তাব লগ্নির পরিপন্থী। পাশ হওয়ার আগে সেগুলির সংশোধন জরুরি। তাঁদের দাবি, এগুলিতে সরকারের আয় বাড়বে না, বরং কিছু অফিসারকে ক্ষমতার অপব্যবহারে সুযোগ করে দেবে।
যেমন কমিশনার বা ট্রাইব্যুনালে আর্জি জানাতে হলে কর ও জরিমানার ৭.৫-১০% পর্যন্ত (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) অর্থ জমা রাখার কথা বলা হয়েছে বাজেটে। অ্যাসোচ্যামের অভিযোগ, সেই গচ্ছিত অর্থে সুদ মেলে না। উপরন্তু, তা ফেরতের সম্ভাবনাও কার্যত নেই। ফলে প্রকৃত অভিযোগকারী সংস্থারই লোকসান হবে। অথচ কর ফাঁকি দেওয়া সংস্থা মোট কর ও জরিমানার মাত্র অল্প কিছু অর্থ দিয়েই এ ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারবে।
বাধ্যতামুলক ভাবে তথ্য জমা দেওয়া, একই সঙ্গে একাধিক হিসেব নিকেশ ব্যবস্থা চালু থাকা, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেই আর্জি জানানো বাধ্যতামুলক করার প্রস্তাবগুলি শিল্পের খরচ বাড়াবে।