—প্রতীকী চিত্র।
নতুন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির (স্টার্ট-আপ) বাজারে ছাড়া প্রথম শেয়ারের (আইপিও) মূল্যায়ন নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এগুলির মধ্যে পেটিএমের মতো আর্থিক প্রযুক্তি সংস্থাকে ঘিরে পরবর্তী কালে শেয়ার বাজারে ডামাডোল আরও বেড়েছে। এ বার কি একই রকম বিতর্কের ছায়া ছোট ও মাঝারি (এসএমই) সংস্থাগুলির শেয়ারকে ঘিরে? বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের ইঙ্গিত অন্তত তেমনই।
মূলধন সংগ্রহের জন্য শিল্প ও ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে শুধু ব্যাঙ্ক ঋণের দিকে না তাকিয়ে থেকে বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহে জোর দিতে বলে আসছে কেন্দ্র। সেই উদ্দেশ্যে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য শেয়ার বাজারে পৃথক একটি ব্যবস্থা চালু করেছে সেবি। বেশ কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যেই তার মাধ্যমে বাজারে নিজেদের আইপিও ছেড়েছে। বেশ কয়েকটি সংস্থার শেয়ারের নথিভুক্তিকরণ সফল হয়েছে। লগ্নিকারীরা রিটার্নও পেয়েছেন বিপুল।
এ বার সেবি চেয়ারপার্সনের বক্তব্য, এই সমস্ত সংস্থার আইপিও এবং শেয়ার লেনদেন দুই ক্ষেত্রেই কারচুপির লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। আজ এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সেই লক্ষণ (প্রভাব খাটানোর) দেখতে পাচ্ছি। সেটা বোঝার প্রযুক্তি আমাদের আছে। তার সাহায্যে কিছু কিছু প্রবণতা বোঝা যায়। গোটা বিষয়টাই অবশ্য প্রাথমিক জায়গায় রয়েছে।’’ বুচ জানান, ছোট ও মাঝারি সংস্থার শেয়ারের নিয়ম আলাদা। ফলে আলাদা তার ঝুঁকির দিকও। তাঁরা পরামর্শদাতাদের সঙ্গে তথ্য বিশ্লেষণের কাজ করছেন। বোঝার চেষ্টা করছেন সমস্ত দিক। যদি কোনও অনিয়ম পাওয়া যায়, তবে পরবর্তী ধাপে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।