কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ‘সাফল্যের’ প্রচার শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহের দাবি, গত ন’বছরে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। সর্বোচ্চ চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন বেশি। তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে গত বছর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেন এত বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে?
বস্তুত, দেশের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র দীর্ঘদিন সমস্যায় ছিল। তার সমাধানে নানা সংস্কারমুখী পদক্ষেপ করে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি। মোদী সরকার একে তাদের সাফল্য বলে দাবি করলেও বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, বহু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল আগে থেকে। বরং মোদী সরকার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কারের নামে বেসরকারি পুঁজিকে বাড়তি সুযোগ দিতে বিদ্যুৎ আইন সংশোধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ দিন বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, গত ন’বছরে দেশে ১৮৫ গিগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। এখন মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৪১৬ গিগাওয়াট। সর্বোচ্চ চাহিদার (২২১ গিগাওয়াট) প্রায় দ্বিগুণ। তাই প্রতিবেশী দেশগুলিকে বিদ্যুৎ রফতানি করছে ভারত। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ভারতে কী পরিবর্তন হয়েছে তো দেখেছে গোটা বিশ্ব।
অন্যান্য মাপকাঠিতেও উন্নতির দাবি করে তিনি জানান, অতিরিক্ত ১.৯৭ লক্ষ সার্কিট কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংবহন লাইন তৈরি করে একই কম্পাঙ্কে একটি গ্রিডে গোটা দেশকে জোড়া হয়েছে। যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গ্রিড। এর ফলে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ১.১২ লক্ষ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। যে কোনও বণ্টন সংস্থা যেখান থেকে খুশি সস্তায় বিদ্যুৎ কিনতে পারে। যার সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহকেরা। কমেছে কারিগরি ও বাণিজ্যিক ক্ষতি।