প্রতীকী ছবি।
কয়লার সঙ্কটই শুধু নয়। গত ক’বছর ধরে চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি না পাওয়াও দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণ। এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিউরিটিজ়। তাদের দাবি, চাহিদা-জোগানে ভারসাম্যের অভাবেই সঙ্কট থেকে রেহাই মিলবে না এখন। এ দিকে সূত্রের খবর, ধাপে ধাপে দেশের সর্বত্র স্মার্ট মিটার চালুর সময়সীমা নির্দিষ্ট করেছে কেন্দ্র। নতুন ব্যবস্থায় মোবাইলের প্রিপেড পরিষেবার মতো গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগে আগাম টাকা মেটাতে হবে।
ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা সিকিউরিটিজ়ের মতে, দেশে বিদ্যুতের ৭৫% চাহিদার সূত্র তাপবিদ্যুৎ। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত তার চাহিদা বছরে ৪% হারে বাড়লেও মোট তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ে ৯%। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ সালের মধ্যে চাহিদা আরও ৫% বেড়েছে, উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ২%। বিভিন্ন প্রকল্প চাপে পড়ায় ও বিকল্প শক্তিতে বেশি গুরুত্বের জেরেসমস্যা মেটানো যায়নি। রিপোর্ট বলছে, উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে দু’তিন বছর লাগতে পারে। বিকল্প বিদ্যুতের জোগানও ১০-১১ শতাংশেরমধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার সম্ভাবনা। ফলে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং কয়লার চাহিদা বৃদ্ধির মতো সমস্যাও আপাতত বহাল থাকবে।
এ দিকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং যে সব ডিভিশনে প্রযুক্তিগত এবং বাণিজ্যিক ক্ষতির বহর চওড়া, সেখানে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে স্মার্ট মিটার বসানোর সময়সীমা বেঁধেছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। বাকি জায়গায় ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ।সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।