পিনাকা মাল্টিব্যারেল রকেট লঞ্চার। ছবি: সংগৃহীত।
১০ বছরে ১০ গুণ বৃদ্ধি! এই গতিতে হাতিয়ার রফতানি বাড়িয়েছে ভারত। বছর শেষে এই তথ্য প্রকাশ করলেন স্বয়ং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। উল্লেখ্য, ২০২৯ সালের মধ্যে এই অঙ্ক ৫০ হাজার কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর আর্মি ওয়ার কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। সেখানে সেনা অফিসারদের সামনে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি বলেন, এক দশক আগে মাত্র দু’হাজার কোটি টাকার অস্ত্র রফতানি করত ভারত। বর্তমানে সেই অঙ্ক ২১ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির নিরিখে এই সংখ্যাকে রেকর্ড বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি দুনিয়া জুড়ে রণকৌশলের অমূল পরিবর্তনের কথা বলেছেন রাজনাথ। তাঁর কথায়, বর্তমান সময়ে শত্রুকে পর্যুদস্ত করতে অপ্রথাগত পদ্ধতির যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে তথ্য-যুদ্ধ বা ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার। পাশাপাশি, হাতিয়ারের সংজ্ঞা বদলাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিশ্বের অনেক দেশ সরসরি শক্তির অত্যাধুনিক লেজার হাতিয়ার তৈরির দিকে নজর দিয়েছে।
এ ছাড়া ছায়া যুদ্ধ, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক লড়াই, মহাশূন্যের দখলদারি এবং সাইবার আক্রমণকে ঠেকানো আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্পষ্ট করেছেন মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বে ভারতীয় হাতিয়ারের চাহিদা বৃদ্ধিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় অস্ত্রগুলির মধ্যে সর্বাধিক চাহিদা দেখা গিয়েছে পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের। ইতিমধ্যেই এই হাতিয়ার আর্মেনিয়াকে বিক্রি করেছে নয়াদিল্লি। পিনাকা কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে ফ্রান্স। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের চুক্তি করেছে ফিলিপিন্স। ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া এবং মিশর এ দেশের হাতিয়ার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী বলে সূত্র মারফৎ খবর প্রকাশ্যে এসেছে।