—প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও পোক্ত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির উপরে আস্থা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই জোড়া কারণই মূলত এ দেশের বাজারে টেনে আনছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজি। পরিসংখ্যানে প্রকাশ, এ মাসে এখনও পর্যন্ত ভারতের শেয়ার বাজারে ৩৮,০০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি করেছে ওই সব সংস্থা।
চলতি অর্থবর্ষের শেষ মাসে এই উৎসাহ চোখে পড়ার মতো বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। গত মাসে এ দেশের শেয়ারে বিদেশি লগ্নিকারীরা ঢেলেছিল মাত্র ১৫৩৯ কোটি। জানুয়ারিতে উল্টো পথে হেঁটে বিক্রি করেছিল ২৫,৭৪৩ কোটিা টাকার শেয়ার। ফলে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ভারতের বাজারে বিদেশি লগ্নির নিট অঙ্ক দাঁড়াল ১৩,৮৯৩ কোটি আর ঋণপত্রের বাজারে ৫৫,৪৮০ কোটি টাকা।
মর্নিংস্টার ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার রিসার্চের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিমাংশু শ্রীবাস্তব বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতি এবং ভারতীয় অর্থনীতির ইতিবাচক ভাবমূর্তি এ দেশের মতো উঁচু বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে চলা বাজার সম্পর্কে আগ্রহী করেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে। তার উপর হালে বাজার কিছুটা পড়ায় নতুন লগ্নির সুযোগ খুলেছে। বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে, গত তিনটি ত্রৈমাসিকে ৮ শতাংশের উপর জিডিপি বৃদ্ধি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর সম্ভাবনাও বাড়তি ইন্ধন জোগাচ্ছে। অনুমান, এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ভাগে ২৫-৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাবে আরবিআই।
তবে গত সপ্তাহে বিদেশি লগ্নিকারীরা শেয়ার বাজারে ছিল বিক্রেতা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কিছুটা সতর্ক থাকতেই প্রায় ৩১.৪০ কোটি ডলারের (প্রায় ২৬০৬.২ কোটি টাকা) শেয়ার বেচেছে তারা। তবে এ দেশে তাদের লগ্নির উৎসাহ বহাল থাকার সম্ভাবনা।