Telecommunication

Telecommunication: ত্রাণ স্বাগত তবে সংস্কার চাই, দাবি টেলি শিল্পের

দেশের তিন অগ্রণী সংস্থার কর্তার উপস্থিতি আইএমসির ভার্চুয়াল বৈঠকে আলাদা মাত্রা যোগ করে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত টেলিকম শিল্পের দীর্ঘ দিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি কিছু সুবিধা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বুধবার ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেসের (আইএমসি) মঞ্চে সেই পদক্ষেপকে ফের স্বাগত জানিয়েও আরও সংস্কারের পক্ষে দাবি করলেন দেশের তিন বেসরকারি টেলি সংস্থার কর্তারা। মুকেশ অম্বানী, সুনীল ভারতী মিত্তল এবং কুমার মঙ্গলম বিড়লার বক্তব্য, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির জন্যই টেলি পরিষেবার আরও দ্রুত বিস্তার দরকার। সে জন্যই চাই সংস্কার।

Advertisement

সস্তার মাসুল এনে এই শিল্পের চেহারা বদলে দেওয়া রিলায়্যান্স জিয়োর কর্ণধার মুকেশের সওয়াল, সকলের হাতে এই পরিষেবা পৌঁছতে
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের ভর্তুকিতে স্মার্টফোন দেওয়া হোক। মিত্তল ও বিড়লার আর্জি, ব্যবসায় সহজে ঋণ ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের রাস্তা মসৃণ করা হোক দ্রুত। টেলিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের আশ্বাস, দেশের টেলি শিল্পকে বিশ্বমানে নিয়ে যেতে সংস্কারের পথ খোলা রাখছেন তাঁরা।

দেশের তিন অগ্রণী সংস্থার কর্তার উপস্থিতি আইএমসির ভার্চুয়াল বৈঠকে আলাদা মাত্রা যোগ করে। ভোডাফোন আইডিয়ার (ভিআই) কর্ণধার বিড়লা আর্থিক সাহায্য না পেলে ব্যবসা গোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে তার কিছু দিন পরেই ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্র। এ দিন তাতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আরও পদক্ষেপের আর্জি জানান বিড়লা। আবার মিত্তলের মতে, এই ক্ষেত্রে মামলা কমাতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় আরও সরলীকরণ জরুরি। দরকার স্পেকট্রামের দর হ্রাসও। ব্যবসায় তীব্র প্রতিযোগিতা থাকলেও পরিকাঠামো নির্মাণ-সহ বহু ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার বার্তা দেন তিনি।

Advertisement

বিড়লা এ দিন জানান, দেশের ডিজিটাল পরিষেবায় অংশীদার হতে চায় ভিআই। তাঁর মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনীতির বহর ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্র বেঁধেছে (এর মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি ১ লক্ষ কোটি ডলারের), তাতে মোবাইল পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সে জন্যই ব্যবসার সহজ পরিবেশ গড়া এবং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সহায়তা চাই বলে মনে করেন তিনি।

মুকেশ জোর দিয়েছেন ২জি থেকে ৪জি-তে উত্তোরণের পরে দ্রুত ৫জি প্রযুক্তি চালুর পক্ষে। তাঁর সংস্থা সস্তার স্মার্টফোন আনার কথা বললেও তা ততটা সস্তা হয়নি বলে অভিযোগ। এ দিকে এক শ্রেণির মানুষের কাছে এখনও স্মার্টফোন অধরা। গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় টেলি পরিকাঠামো গড়ার যে বিশেষ তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের ভর্তুকি দিতে সওয়াল করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement