—ফাইল চিত্র।
কার্বন কর চালুর তিন সপ্তাহের মধ্যে অরণ্য নিয়ন্ত্রণ বিধি কার্যকর করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর মতে, এতে ভারত থেকে ইইউ-তে কফি, কাগজের বোর্ড,পশুর চামড়ার মতো পণ্যের রফতানি ধাক্কা খেতে পারে। এ দেশ থেকে সেখানে পণ্যগুলির বার্ষিক রফতানির অঙ্ক ১৩০ কোটি ডলার (১০,৬৬০ কোটি টাকা)। যদিও এক সরকারি কর্তার দাবি, আদতে রফতানির বাজারে প্রতিযোগী দেশগুলির চেয়ে ভারতকে এগিয়ে রাখবে ওই বিধি। কারণ, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার মতো মহাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গাছ কাটা হলেও ভারতে অরণ্যের অনুপাত উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।
অরণ্য নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী, ইইউ সেই সব পণ্যই আমদানি করবে যেগুলির উৎপাদনে ব্যবহৃত জমি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পরে বন কেটে তৈরি হয়নি। বড় সংস্থার ক্ষেত্রে ১৮ মাস পরে এবং ছোট সংস্থার ক্ষেত্রে ২৪ মাস পর থেকে এই বিধি কার্যকর হবে। গবাদি পশু, পশুর মাংস, চামড়া, সয়া বিন, পাম তেল, কফি, কফি বীজ, চকলেট, কাঠ, কাঠের তৈরি পণ্য, আসবাব, কাগজ, কাগজের বোর্ড-সহ বিভিন্ন পণ্য বিধির আওতায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, পরিবেশ রক্ষার মোড়কে আসলে ঘরোয়া শিল্পকে রক্ষা করাই বিধির উদ্দেশ্য। সরকারি সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, গত ক’বছরে ভারতের অরণ্যের ভাগ বেড়েছে। ‘ইন্ডিয়া স্টেট অব ফরেস্ট রিপোর্ট ২০২১’ অনুযায়ী, দু’বছরে গাছপালা ও অরণ্য বেড়েছে ২২৬১ বর্গ কিলোমিটার। এর আয়তন ৮.০৯ কোটি হেক্টর। ভৌগলিক এলাকার ২৪.৬২%। ফলে ভারতের কৃষি রফতানি ক্ষেত্রের সুবিধা হবে।
ওই কর্তা বলেন, ‘‘এই বিধি দেশের শিল্পের কাছে বড় সুযোগ। আমাদের অরণ্যের জমি কৃষি জমির চেয়ে আলাদা। ইইউ-র কাছে তা ব্যাখ্যা করতে পারি। তাতে সুবিধা হবে।’’ ব্যবসার বদলে যাওয়া ধরনের সঙ্গে মানানোর কথাও বলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই বিধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাভ নেই। কারণ, তা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য।