অর্থনীতি নিয়ে আশার বাণী শোনানো বহাল রেখেছেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। প্রতীকী চিত্র।
একের পর এক পরিসংখ্যান অর্থনীতির গভীর অসুখের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা সে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা ও শিল্পোৎপাদন হোক বা ৫ শতাংশের নীচে নামা বৃদ্ধি কিংবা মাথা তুলতে থাকা মূল্যবৃদ্ধির হার। অথচ অর্থনীতি নিয়ে আশার বাণী শোনানো বহাল রেখেছেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার যেমন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে শোনালেন রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ। দাবি করলেন, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি শ্লথ ছিল ঠিকই, তবে এটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই যে, ওই হার নামবেই। তাঁর মতে, অতীতেও বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশের নীচে নেমে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বরং ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। সরকারের একগুচ্ছ পদক্ষেপে অচিরেই বৃদ্ধির গতি বাড়বে।
যদিও এ দিনই জাপানের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা নোমুরার পূর্বাভাস, চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৪.৩%। আর ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ ৪.৭%। দুই হারই যথেষ্ট উদ্বেগজনক। নোমুরার দাবি, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে (এনবিএফসি) নগদ জোগানের সমস্যা বড় ধাক্কা দিয়েছে দেশের খুচরো ঋণের বাজারকে। তারা ধার দেওয়া থেকে হাত গুটিয়ে রেখেছে। এর ফলে বাজারেও কমেছে নগদের জোগান। তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে গাড়ি, আবাসন, ভোগ্যপণ্য-সহ বিভিন্ন পণ্যের কেনাকাটায়।
মন্ত্রী অবশ্য বলছেন, চাহিদা ও জোগানের ব্যবস্থা যতটা ভাল হওয়া উচিত ততটা না হলেও, ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে।