India

Manufacturing Hub: আকর্ষণীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের কেন্দ্রের তালিকায় আমেরিকাকে টপকে গেল ভারত

করোনার বিধ্বংসী দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে ফের উৎপাদন শুরুর মতো বিষয় বিবেচনা করলে এ দেশের এখনও দীর্ঘ পথ চলা বাকি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অর্থনীতির ঝিমুনি দেশের উৎপাদনে কোপ বসিয়েছিল করোনা হানার আগেই। অতিমারি তাকে আরও বেসামাল করেছে। ফলে বেড়েছে বেকারত্বও। তবে সারা বিশ্বে সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের কেন্দ্র (ম্যানুফ্যাকচারিং হাব) যে দেশগুলি, সেই তালিকায় আমেরিকাকে পেরিয়ে গিয়েছে ভারত। জায়গা পেয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে থাকা পড়শি দেশ চিনের পরেই। এক সমীক্ষায় এমনই দাবি করল আবাসন ক্ষেত্রের অন্যতম উপদেষ্টা এবং পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, আমেরিকার কুশম্যান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড। তারা বলেছে, এর অন্যতম কারণ দৈনন্দিন কাজের পরিবেশ এবং কম খরচ। তবে ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি সামলানো এবং করোনার বিধ্বংসী দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে ফের উৎপাদন শুরুর মতো বিষয় বিবেচনা করলে এ দেশের এখনও দীর্ঘ পথ চলা বাকি।

Advertisement

কল-কারখানায় উৎপাদনের কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে কাদের অবস্থান গোটা বিশ্বে সব থেকে সুবিধাজনক, তা মাপতে কুশম্যান ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের মোট ৪৭টি দেশকে বেছে নেয়। সেই মাপকাঠিতে এ বছর লগ্নির সবচেয়ে নজরকাড়া ঠিকানা হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উৎপাদনের ঝুঁকি সংক্রান্ত তাদের সূচকটিতে (২০২১ গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং রিস্ক ইনডেক্স) প্রথম স্থানে চিন। সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উৎপাদনমুখী শিল্পে লগ্নির গন্তব্যের নিরিখে চিনের পরেই যে দেশের সবচেয়ে বেশি কদর, সেটি ভারত। আমেরিকা সেই নিরিখে তৃতীয় স্থানে। তার পরে কানাডা। গত বছরের রিপোর্টে অবশ্য আমেরিকা ছিল দ্বিতীয় আর ভারত তৃতীয় আসনে।

উপদেষ্টা সংস্থাটির দাবি, এর থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভারত সম্পর্কে উৎপাদকদের আগ্রহ বাড়ছে। বিদেশি বহু সংস্থাকে বরাবরই ভারত থেকে কম খরচে কাজ করিয়ে নিতে (আউটসোর্সিং) দেখা যায়। কুশম্যানও বলেছে, এ দেশের আমেরিকাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারার অন্যতম কারণ আউটসোর্সিংয়ের চাহিদা পূরণ। আর একটি কারণ, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের প্রেক্ষিতে চিন থেকে এশিয়ার অন্যান্য অংশে বহু সংস্থার কারখানা সরিয়ে নেওয়া। এর সুবিধা পেয়েছে ভারত। বিশেষত ওষুধ, রাসায়নিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement