ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দৌড়চ্ছে সংক্রমণের হার। বহু রাজ্যেই হয় ফের আংশিক লকডাউন বা কার্ফুর পথে হাঁটছে অথবা নতুন করে বিভিন্ন কড়াকড়ি চাপাচ্ছে। যার জেরে দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে ফের তৈরি হয়েছে সংশয়। এর ফলে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটতে শুরু করেছে মূল্যায়ন এবং উপদেষ্টা সংস্থাগুলি। কয়েক মাস আগেই যারা তা বাড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ যে ক্রেতা এবং লগ্নিকারী উভয়ের সামনেই আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, রবিবার সেই কথা স্বীকার করে নিল নীতি আয়োগ। সেই সঙ্গে আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের আশ্বাস, প্রয়োজন হলে ফের ত্রাণ প্রকল্প এনে সাহায্য করবে কেন্দ্র।
অতিমারি এবং তা যুঝতে চলা লকডাউনের কারণে গত বছরের বেশিরভাগটা জুড়েই প্রায় স্তব্ধ হয়েছিল আর্থিক কর্মকাণ্ড। যার জের পড়ে ভারতের বৃদ্ধির উপরে। ২০২০-২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৩.৯% কমার পরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও ৭.৫% কমেছিল জিডিপি-র হার। তার পরে ধীরে ধীরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হওয়ার হাত ধরে অক্টোবর-ডিসেম্বরে তা সামান্য (০.৪%) মাথা তুলেছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সেই অগ্রগতিকে বেসামাল করে দেওয়ার দিকে এগোচ্ছে।
কুমারের মতে, এটা ঠিক যে করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করলে গত কয়েক মাসের চেয়ে অবস্থা এখন বেশ খারাপ। বিশেষত চিন্তায় রাখছে ব্রিটেনের মতো বাইরের দেশ থেকে আসা স্ট্রেন। পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে সংক্রমণের প্রভাব তো এখন সরাসরি পড়ছেই। আগামী দিনে আরও অনিশ্চয়তা অপেক্ষা করে রয়েছে অর্থনীতির সামনে। যা সামলানোর জন্য এখন থেকেই তৈরি হতে হবে ক্রেতা ও লগ্নিকারী সংস্থা, দুপক্ষকেই।
তবে তা সত্ত্বেও ভারত চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১১% হারে বৃদ্ধির মুখ দেখবে বলে আশা রাজীবের। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক যেমন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে, তেমনই কেন্দ্র পরিস্থিতি অনুসারে আরও ত্রাণ প্রকল্প আনতে পারে। প্রসঙ্গত, লকডাউনের পরে গত বছর ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা থেকে শুরু করে ছোট সংস্থার ঋণ জোগানো-সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল সরকার।