প্রতীকী ছবি
কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের ১৮টি চটকল খুলতে আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। বুধবার সবক’টি চটকলেরই দরজা খোলার অনুমতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাঁধলেন শর্ত, কাজ করাতে হবে অল্প কর্মী নিয়ে, যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে এবং একদিন অন্তর।
রবি মরসুমের খাদ্যশস্য ভরতে চটের বস্তা লাগবে। তাই চটকল খোলার কথা বলে সম্প্রতি রাজ্যকে চিঠি দেয় খাদ্য ও বস্ত্র মন্ত্রক। তবে স্মৃতির সওয়াল ছিল ১৮টি চটকল খোলার। তবে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানান, সবক’টিই ১৫% কর্মী নিয়ে অল্প অল্প করে একদিন অন্তর চালাতে পারে। না-হলে অন্য শ্রমিকদের প্রতি অবিচার করা হবে। তবে মমতার বার্তা, প্রতিটি পদক্ষেপে সব সুরক্ষা বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, নজর রাখবে সরকার। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করাতে হবে কর্মীদের।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীও জানান, রবি মরসুমের শস্য উঠবে। চটের বস্তার জন্য পঞ্জাব, তেলঙ্গানা থেকে ফোন এসেছিল। বস্ত্রমন্ত্রীও ফোন করেছিলেন। শ্রমিকদের জীবন, জীবিকা-সহ সব দিক ভেবেই এই অনুমতি। সুরক্ষা বিধি মেনে কাজ শুরু করতে রাজি চটকল মালিকেরাও। কিন্তু দাবি, ১৫% কর্মীতে উৎপাদন অসম্ভব। তাঁদের সংগঠন আইজেএমএ-র সভাপতি রাঘব গুপ্ত জানান, কর্মী বাড়াতে আর্জি জানাবেন।
শ্রমিক সংগঠনেগুলির অভিযোগ, সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও লকডাউনের সময় মজুরি বন্ধ অধিকাংশ চটকলে। প্রতিবাদে কাল, শুক্রবার সব চটকলের সামনে বিধি মেনে অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সিটু-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘‘যত শ্রমিকই কাজ করুক আইন মেনে সকলের মজুরি দিতে হবে।’’ ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় মমতাকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, সকলে মজুরি না-পেলে, নতুন সমস্যা হবে।