ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রায় ১৫ মাস পরে মুখ তুললেও, তার সুফল দেখতে পেল না শেয়ার বাজার। রাজকোষ ঘাটতি লাগামছাড়া হওয়ার আশঙ্কা মুছে দিল বৃদ্ধির প্রভাবকে। যার ফলে সূচক ওঠার বদলে ওই দুই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই মাত্র দুই দিনে সেনসেক্সের পতন হল ৭৬৯.৮২ পয়েন্ট এবং নিফ্টি পড়ল ২৩৯.৫০ পয়েন্ট।
বৃহস্পতিবার লেনদেনের শেষে সেনসেক্স ৩১৬.৪১ পয়েন্ট পড়ে শেষ হয় ৩২৮৩২.৯৪ অঙ্কে। অন্য দিকে নিফ্টি ১০৪.৭৫ পয়েন্ট পড়ে থিতু হয় ১০১২১.৮০ অঙ্কে।
তবে এই পতনকে শেয়ার বাজারের ভাল লক্ষণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে সূচক টানা বাড়ার ফলে বাজারে শেয়ারের দামে একটা সংশোধন হওয়া উচিত ছিল। এবার সেটাই ঘটল। দামে যদি কিছু কৃত্রিমতা থেকে থাকে, সেটা এই সংশোধনের ফলে দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস।’’
এই পতনকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখও। তিনি বলেম, ‘‘আমি মনে করি, এই পতন আগামী দিনে সূচককে লম্বা দৌড়ের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়ক হবে।’’
এই সংশোধনের পরে শেয়ার বাজার ফের দৌড়তে শুরু করবে বলে মনে করলেও তার আগে সূচক আরও কিছুটা পড়তে পরে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অজিতবাবু এবং পারেখ উভযেই সেনসেক্সের আরও প্রায় ২০০ পয়েন্টের মতো পতনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
শেয়ার বাজারে এখন সকলেরই চোখ গুজরাতের নির্বাচনের দিকে। তার ফলাফলের প্রভাব সূচকের উপর পড়বে বলেই মনে করেছে বাজার।