প্রতীকী ছবি।
ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার কতটা উদ্বেগজনক, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তাতে লাগাম পরাতে কী হারে সুদ বাড়াবে, তার জেরে জিডিপি বৃদ্ধির হার কতখানি ধাক্কা খাবে— এমন হাজারো প্রশ্নে উত্তাল দেশ। এর মধ্যেই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ৮১ টাকা পেরোনো ডলার। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এতে অশোধিত তেল, গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য আমদানির খরচ বাড়বে। যা পণ্যের দাম বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধির হারকে আরও উপরে তুলবে।
টাকা এত দুর্বল হওয়ার প্রধান কারণ আমেরিকায় বিপুল হারে সুদ বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যতদিন আমেরিকা মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে সুদ বাড়াবে, ততদিন ডলার চড়বে। আর ভারতকে যেহেতু প্রয়োজনীয় তেলের ৮৫% এবং গ্যাসের ৫০% আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়, তাই এগুলি কেনার খরচও বাড়বে।
সূত্রের খবর, বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতেই ১ অক্টোবর পরবর্তী ছ’মাসের জন্য দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হতে পারে। ওএনজিসির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পুরনো গ্যাস ক্ষেত্রগুলি থেকে উৎপাদিত প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট গ্যাসের দাম ৬.১ ডলার থেকে বেড়ে হতে পারে ৯ ডলার। দুর্গম ক্ষেত্রগুলির ক্ষেত্রে তা ৯.৯২ ডলার থেকে বেড়ে ১২ ডলার ছুঁতে পারে। এই গ্যাস বিদ্যুৎ এবং সার উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। তৈরি হয় গাড়ির জ্বালানি সিএনজি। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এর ফলে ওই সমস্ত পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত দু’বার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে।
এসবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি, মন্দা এলে চাহিদা কমবে— এই আশঙ্কাতেই বিশ্ব বাজারে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা নামিয়েছে। একই কারণে নামছে অশোধিত তেলের দামও। কিন্তু সেই সুবিধার একাংশ কেড়ে নেবে পড়তি টাকা, আক্ষেপ ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার-সহ বিশেষজ্ঞ মহলের বড় অংশের।