Farmers

NABARD: প্রকল্পে রোজগার বাড়ছে চাষিদের, দাবি নাবার্ডের

ই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ঝাড়গ্রাম-সহ বিভিন্ন জেলায় চাষিরা আয় বাড়াতে সফল হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২২ ০৯:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে চাষিদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ফার্মার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজ়েশন এবং ফার্মার্স প্রোডিউসার্স কোম্পানি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (নাবার্ড)। সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক জি কেশব রাওয়ের দাবি, এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ঝাড়গ্রাম-সহ বিভিন্ন জেলায় চাষিরা আয় বাড়াতে সফল হয়েছেন।

Advertisement

ঝাড়গ্রামের বারাসুলি গ্রামের কৃষক চঞ্চল দণ্ডপাটের কথায়, ‘‘নাবার্ডের প্রকল্পে যুক্ত হয়ে তিন বছরে বার্ষিক আয় ৫০% বাড়াতে পেরেছি। এর মধ্যে গত এক বছরে বেড়েছে ৩৫%।’’ লালগড়ের রতনপুরের কাজু চাষি সুবল হাঁসদা ও গৌতম মুর্মুর দাবি, এক বছরেই তাঁদের আয় দ্বিগুণ হয়েছে।

কী ভাবে বাড়ছে আয়? পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে নাবার্ডের উন্নয়ন ম্যানেজার আকাশ শর্মা এবং ঝাড়গ্রাম কৃষক প্রডিউসার্স কোম্পানির সিইও তাপস রঞ্জন মাইতি বলেন, ‘‘এক দিকে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো এবং অন্য দিকে চাষের খরচ কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এর জন্য ন্যায্য দামে বীজ, সার দেওয়ার পাশাপাশি, সমবায় ভিত্তিতে যাতে পাওয়ার টিলার যন্ত্রের ব্যবহার চাষিরা করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করছি। সহযোগিতা করছি পণ্য বিপণনে। এই সব মিলিয়েই আয় বাড়ছে।’’ আকাশবাবুর হিসাব, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যে চাষির আয় ১.৪৩ লক্ষ টাকা ছিল, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাঁর আয় দাঁড়িয়েছে ২.১২ লক্ষ টাকা। তবে তাপসবাবুর বক্তব্য, ঝাড়গ্রামে এখনও বৈদ্যুতিন বিপণন পরিকাঠামো (ই-নাম) তৈরি হয়নি। তা থাকলে চাষিরা আরও ভাল দাম পেতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement