—প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুতের দাম নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ দূর করতে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড দুই রাজ্য মিলে একটিই মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অধীনে কাজ করবে ডিভিসি। এখন দুই রাজ্যের সরকারের পৃথক নির্দেশ মানতে গিয়ে তার প্রভাব বিদ্যুতের দামে পড়ে। বুধবার বণিকসভা মার্চেন্ট চেম্বারের এক আলোচনাসভায় এই খবর জানান সংস্থার চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার। এ ছাড়াও বিদ্যুতের দাম কম রাখতে সংস্থা বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার ব্যবহার ধাপে ধাপে কমিয়ে এনে তা বন্ধ করবে বলেও জানান তিনি।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সংস্থার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৬০০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ১০,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছবে। রাজ্যে রঘুনাথপুর দু’টি ৮০০ মেগাওয়াটের এবং দুর্গাপুরে একটি ৬০০ মেগাওয়াটের ইউনিট নির্মাণ করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে খবর। এ ছাড়াও মাইথন এবং পাঞ্চেতে বাঁধ এলাকায় সংস্থার হাতে প্রায় ২০ লক্ষ হেক্টর খোলা জমি রয়েছে। সেখানে ভবিষ্যতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নেওয়া হবে।
মাইথন এবং পাঞ্চেতে বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে সেখানে বালি জমার কারণে। কিছুটা মোটা দানাওয়ালা ওই বালির নির্মাণ শিল্পে ভাল চাহিদা রয়েছে বলে মনে করছেন সংস্থার আধিকারিকেরা। বরাত দিয়ে ওই বালি উত্তোলন করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এ দিন আলোচনার শুরুতে বণিকসভার সভাপতি নমিত বাজোরিয়া জানান, সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষে সংস্থার ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ (৪৩৩২ কোটি ইউনিট) উৎপাদন হয়েছে।