নোট বাতিলের পরে লাগাতার নগদহীন অর্থনীতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তি দিয়েছিলেন, ডিজিটাল লেনদেন মারফত নগদের ব্যবহার কমলে রোখা যাবে কর ফাঁকি। বন্ধ হবে কালো টাকার লেনদেন। অথচ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, বাজারে নগদের পরিমাণ ১৯.১% বেড়ে পৌঁছেছে ২১.৪১ লক্ষ কোটিতে (১৫ মার্চের হিসেব)। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এতে স্পষ্ট, ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানোর চেষ্টা সফল তো হয়ইনি। নগদহীন বা কম নগদের অর্থনীতির সুবিধা নিয়ে কেন্দ্র যে ঢাক পিটিয়েছিল, তা-ও যুক্তি হারিয়েছে।
ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটারদের মন জিততে নগদ বিলির অভিযোগ আসে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে নোট বাতিল করে কী লাভ হল? সব কালো টাকাই কি সাদা হয়ে ফিরে এল? রাজনীতিকদের মতে, ভোটের মরসুমে বাজারে নগদের পরিমাণ আরও বাড়বে।
কংগ্রেস নেতা অহমেদ পটেলের কটাক্ষ, ‘‘এই কারণেই কি সরকার ভান করছে যে নোট বাতিল কোনও দিন হয়ইনি? বিজেপি যাতে হাত দেয়, তা-ই ব্যর্থ হয়, এটাই শিল্প।’’ সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘নোট বাতিল আসলে কালো টাকা সাদা করার পথ ছিল। তাতে অনেকের রুটিরুজি গিয়েছে। দেখা গেল, নগদহীন অর্থনীতির দাবিও জুমলা ছিল।’’
২০১৮ সালের মার্চেই অর্থনীতিতে নগদের অঙ্ক নোট বাতিলের আগের মাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছিল, নোটবন্দির পরে দ্রুত নগদ জোগান বাড়াতে যাওয়াই এর কারণ। কিন্তু এ বার তাদের রিপোর্টই বলছে, তার পরেও গত এক বছরে নগদ বেড়েছে আরও ৩ লক্ষ কোটি।