চোদ্দো আনার গন্ধে মার্কিন মুলুকে চর্ম শিল্প

বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে আমেরিকায় চিনা চর্মপণ্যের আমদানি এখন চাপের মুখে। পড়ে পাওয়া সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাভের চোদ্দো আনা ঘরে তুলতে মরিয়া ভারতীয় চর্ম শিল্প মহল। সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরাও।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৫৯
Share:

বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে আমেরিকায় চিনা চর্মপণ্যের আমদানি এখন চাপের মুখে। পড়ে পাওয়া সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাভের চোদ্দো আনা ঘরে তুলতে মরিয়া ভারতীয় চর্ম শিল্প মহল। সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরাও।

Advertisement

আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ এখনও বহাল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি সে দেশে আমদানি করা চিনা চর্মপণ্যের শুল্কও বেড়ে চলেছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই আমেরিকার বাজারে থাবা বসাতে চান রাজ্যের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতের চর্মপণ্যের উপরে এখনও কোনও আমদানি শুল্ক বসেনি।

রাজ্যের চর্ম শিল্প মহল সূত্রের খবর, এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারত থেকে ৬৫ জন চর্ম ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি দল আমেরিকায় যাচ্ছে। তাতে এ রাজ্যের প্রতিনিধির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিউ ইয়র্ক-সহ বেশ কয়েকটি শহরে সে দেশের আমদানিকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। শিল্প মহলের বক্তব্য, চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ, জুতো, বেল্ট-সহ বিভিন্ন পণ্যের রফতানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে আমেরিকায়।

Advertisement

কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন চিনা চর্মপণ্যের উপরে আমেরিকায় আগে থেকেই ৮%-৯% আমদানি শুল্ক ছিল। নয়া বাণিজ্য নীতির ফলে ইতিমধ্যেই সেগুলির উপরে আরও ১০% শুল্ক বসছে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত আরও ১৫% শুল্ক বসার কথা। ফলে চিনা চর্মপণ্যের উপরে মোট আমদানি শুল্ক গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৩২%-৩৪%। সেখানে ভারতীয় চর্মপণ্যের উপরে এখনও পর্যন্ত কোনও শুল্ক বসেনি। জুনেজার বক্তব্য, চড়া শুল্ক দিয়ে কোনও বিদেশি সংস্থাই আমদানি করতে চায় না। ফলে আমেরিকায় চর্মপণ্যের বাজার বাড়ানোর একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে ভারতের সামনে। এ রাজ্যের ব্যবসায়ীদের কাছেও।

দেশের চর্মপণ্য রফতানিকারী সংস্থাগুলির বক্তব্য, গত কয়েক বছরে আমেরিকায় রফতানি অনেকটাই বাড়াতে পেরেছে তারা। কিন্তু তাতেও সে দেশে ওই পণ্যের মোট আমদানিতে ভারতের অংশ ২ শতাংশের বেশি নয়। গত অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪,৭২১ কোটি টাকার চর্মপণ্য রফতানি হয়েছে। আমেরিকায় গিয়েছে এর মধ্যে ৬০০ কোটির পণ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement