—প্রতীকী চিত্র।
ভারতকে বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি তালুক বানানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। এই পণ্যগুলি তৈরি করতে যে সমস্ত কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়, তার আমদানি শুল্ক ছাঁটাই করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে তা নামানো হয়েছে ১০ শতাংশে। এ বার পরোক্ষ কর এবং শুল্ক পর্ষদ (সিবিআইসি) জানাল, টাচ প্যানেল, কভার গ্লাস, এলইডি ব্যাকলাইটের মতো যে সমস্ত উপাদান মোবাইলের ডিসপ্লে অ্যাসেম্বলি তৈরি করতে কাজে লাগে, সেগুলির উপরে ১০% আমদানি শুল্ক ধার্য হবে। আবার ডিসপ্লে অ্যাসেম্বলির সঙ্গে যদি ফ্রেম, সিম ট্রে কিংবা পাওয়ার ও ভলিউমের বোতাম যুক্ত থাকে, তা হলেও সেগুলির জন্য একই সুবিধা মিলবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মোবাইল ফোন তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে কোন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় সেই সংক্রান্ত বিধি রয়েছে। কিন্তু ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) নজরে আসছে, আমদানিকারীরা এই বিধির অপব্যাখ্যা করে বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন। সে ক্ষেত্রে বাড়তি কর দাবি করে নোটিস পাঠানো হয় সংস্থাগুলিকে। এ বার সিবিআইসি বিষয়টি স্পষ্ট করে দিল। আইসিএআইয়ের চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রুর মতে, সিবিআইসির এই নির্দেশিকা শিল্পের কাছে স্বস্তির খবর। এর ফলে অহেতুক মামলা-মোকদ্দমা থেকে রেহাই মিলবে।
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ভারত যন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ক কমিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা এখনও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বেশি। ভিয়েতনাম যেমন সর্বনিম্ন হার শূন্য শতাংশে নামিয়েছে। পাচ্ছে সুফলও। বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে লগ্নিও বেশি টানতে পারছে তারা। সরকার এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রকে আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।