ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে।
আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ এ বার গড়াল ট্রাম্প বনাম ল্যাগার্দের বাগ্যুদ্ধে।
ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে চড়া শুল্ক বসানো থেকে পিছু হটার যে প্রশ্ন নেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবারই তা স্পষ্ট করেন। বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের দামামার মধ্যেই তাঁর যুক্তি ছিল, এই লড়াইয়ে নামতে তিনি তৈরি, কারণ সহজে জয় এ ক্ষেত্রে নিশ্চিত। ট্রাম্পের যুক্তিতে জল ঢেলে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের পাল্টা, ‘‘তথাকথিত বাণিজ্য যুদ্ধে কোনও পক্ষই জেতে না। একে অপরের পণ্যে চড়া শুল্ক বসানোর লড়াই চলতেই থাকে। দেখা যায় হেরোর দলে পড়ে যাচ্ছে দু’পক্ষই।’’
শুল্ক চাপানোর পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সওয়াল, মেক্সিকো, কানাডা ইত্যাদি দেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি বিপুল। তাই তা সামলাতে চড়া শুল্ক বসিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধে নামার পক্ষপাতী তিনি। সে ক্ষেত্রে আমেরিকাকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘চড়া শুল্কের’ মুখোমুখি হয়ে ভুগতে হবে বলে হুমকি দেন তিনি। তার পরেই ফরাসি রেডিওতে ল্যাগার্দের বার্তা, ‘‘সার্বিক ভাবে এ ধরনের শুল্ক বসানোর প্রভাব খুবই ক্ষতিকারক, বিশেষ করে যদি ক্ষতি এড়াতে কানাডা, ইউরোপ একই পথে হাঁটে। আশা করব ট্রাম্প তাঁর পরিকল্পনা রূপায়ণ থেকে সরে আসবেন।’’
চিনের নেতৃত্বে আর্জি: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিও-র ১৮টি সদস্য দেশ চিনের নেতৃত্বে ট্রাম্পকে তার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে বুধবার আর্জি জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কানাডা ও রাশিয়ার সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই শুল্ক চাপানোর বিপক্ষে ডব্লিউটিও-র সাধারণ পরিষদের বৈঠকে সওয়াল করা হয়।
চিনের প্রতিনিধি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তিতে ট্রাম্প শুল্ক বসালে বিপন্ন হতে পারে ডব্লিউটিও-র অস্তিত্ব। সদস্য দেশগুলি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সমেত নিজেদের সুরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে।