ব্যস্ততা: চলছে আইসক্রিম তৈরি। দুর্গাপুরের দুগ্ধ কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা চলছিল গত বছর থেকেই। অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুরের সাগরভাঙায় বন্ধ হয়ে থাকা রাজ্য দুগ্ধ কেন্দ্রে (দুর্গাপুর স্টেট ডেয়ারি) শুরু হল বাণিজ্যিক ভাবে মাদার ডেয়ারি ব্র্যান্ডের আইসক্রিম তৈরি।
প্রাণিসম্পদ বিকাশমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, ‘‘বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রস্তুতি চলছিল। এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। তৈরি হওয়া আইসক্রিমের মান যাচাই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ কারখানা সংস্কারের কাজ চলছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার থেকে বাড়তি কিছু সময় লেগেছে। সব দিক যাচাইয়ের পরেই উৎপাদন শুরু হয়েছে।’’
আপাতত এখানে বিভিন্ন স্বাদের আইসক্রিম মিলিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা ৫,০০০ লিটার। চাহিদা বাড়লে ধাপে ধাপে তা আরও বাড়ানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। স্বপনবাবু বলেন, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা-সহ রাজ্যের অন্যত্রও যাতে এখানে তৈরি আইসক্রিম পাঠানো যায়, সে জন্যও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে ধুঁকতে থাকা এই দুগ্ধ কেন্দ্রটি পরবর্তীকালে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় স্টেট ডেয়ারিটি অন্য ভাবে চালুর ভাবনা শুরু হয়। সেই সূত্রেই গত বছর দুগ্ধ কেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক ভাবে আইসক্রিম উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে প্রায় ৬০ জন কর্মীকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ দফতরের এক কর্তার দাবি, আগে দিনে গড়ে ৪৫০-৫০০ লিটার নানা ধরনের আইসক্রিম বিক্রি হত। যা অন্য সংস্থাকে দিয়ে নিজেদের গুণমান অনুসারে তৈরি করানো হত। এখন দুর্গাপুরে নিজস্ব তৈরি আইসক্রিমের জোগান শুরু হওয়ায়, বিক্রিও ১,০০০ লিটারের কাছাকাছি চলে এসেছে বলে তাঁর দাবি।