আজই ভারতে আসছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
সংখ্যাটা বাড়ছে। তবুও ভিন্ দেশে বসবাসকারী ভারতীয় মহিলা উদ্যোগপতিদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথটা এখনও সহজ হয়নি। সরকারের থেকে ব্যবসা আদায় করতে তাই একজোট হয়েছে আমেরিকায় মহিলাদের বণিকসভা-সহ বিভিন্ন সংগঠন। নিজেদের সমস্যা ও সাফল্য— দু’দিকেই নজর কাড়তে এ বার তাঁদের নজর হায়দরাবাদে ভারত-আমেরিকা উদ্যোগপতি সম্মেলন ‘গ্লোবাল বিজনেস সামিট ২০১৭’-এর দিকেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ও পরামর্শদাতা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার তিন দিনের এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে।
সম্মেলনে মোট ১২০০ উদ্যোপতি যোগ দিচ্ছেন। ৪০০ জন ভারতের। ৪০০ জন আমেরিকার। বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে মহিলা উদ্যোগপতিদের সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার উপর। হাজির থাকবেন আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় উদ্যোগীরা।
আমেরিকার মহিলা ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি বৃহত্তম সংগঠন ইউএস উওমেন চেম্বার অব কমার্সের দাবি, আমেরিকায় ৯৩ হাজার সংস্থার মালিক ভারতীয় মহিলা অভিবাসী। তবে মেয়েদের মালিকানায় থাকা মোট সংস্থার এক শতাংশেরও কম এই সংখ্যা। আমেরিকায় মহিলা মালিকানার সংস্থাগুলির মোট ব্যবসার পরিমাণ ১.৪ লক্ষ কোটি ডলার। আর এই ব্যবসার ২.০৯ শতাংশ ভারতীয় মহিলাদের দখলে। এই তথ্য জানিয়ে সংগঠনের প্রধান মার্গট ডর্ফম্যান বলেন, ‘‘পথটা কখনই মসৃণ নয়। সরকারের কাছ থেকে ব্যবসা পেতে যে-ধরনের আইনি প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়, তা যথেষ্ট জটিল।’’
তবে শুধু সরকারের ভরসায় থাকা নয়। নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়তে তৈরি হয়েছে ‘ফেমিগ্র্যান্ট’-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া-নির্ভর সংগঠনও। ফেসবুকের মাধ্যমে ২ হাজারের বেশি মহিলা ব্যবসায়ীদের এককাট্টা করেছেন আজারবাইজান থেকে আসা আইকা আলিয়েভা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সদস্যদের ৬০ শতাংশ ভারতীয় মহিলা।’’ আইকার সুরে সুর মিলিয়ে ভারতীয় উদ্যোগপতি লাবণ্য জানান, পেশাদারি শিক্ষা থাকলেও ব্যবসা শুরু করার পথ মসৃণ হয়নি এখানেও। সেই বাধা কাটাতেই ফেমিগ্র্যান্টের হাত ধরেছেন সফটওয়্যার ব্যবসায় পা রাখা লাবণ্য।
স্টার্ট-আপ তৈরির ক্ষেত্রে পুঁজি পাওয়াই মহিলা ব্যবসায়ীদের বড় সমস্যা। সিলিকন ভ্যালিতে ‘উওমেনস স্টার্ট-আপ ল্যাব’ চালাচ্ছেন জাপানি মহিলা আরি হোরি। তাঁর দাবি, ৯০ শতাংশ উদ্যোগ-পুঁজি নিয়ন্ত্রণ করেন পুরুষরা। মহিলাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে তাঁরা স্বচ্ছন্দ নন।