এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা। —ফাইল চিত্র
কর্মী ছাঁটাইয়ের তালিকায় এ বার হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাঙ্ক কর্পোরেশন বা এইচএসবিসি ব্যাঙ্ক। লন্ডনের একটি ব্যবসা সংক্রান্ত সংবাদ পত্রের খবর, ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে এই ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের অন্তর্বর্তীকালীন চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নোয়েল কুইন ঘনিষ্ঠ মহলে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ব্যাঙ্কের শীর্ষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি ওই সংবাদপত্রের। ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, এ মাসের শেষের দিকে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট প্রকাশের সময়েই এই ঘোষণা করতে পারেন কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকা-চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মার খাচ্ছে দু’দেশেই। অবধারিত ভাবেই তার প্রভাব পড়েছে মার্কিন ব্যাঙ্কগুলির উপর। এর পাশাপাশি ব্রেক্সিটের জেরে ব্রিটেন-সহ গোটা ইউরোপেই রাজনৈতিক টানাপড়েনের জেরেও শিল্প-ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। নতুন বিনিয়োগে উৎসাহ হারাচ্ছে শিল্পমহল। তার জেরে ব্যাঙ্কের মুনাফায় টান পড়ছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতেই এইচএসবিসি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল শিবির।
লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ‘ফাইনান্সিয়াল টাইমস’-এর ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাঙ্কের মূল লক্ষ্য ব্যয় সংকোচন। শীর্ষ ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে ফাইনান্সিয়াল টাইমসের দাবি, প্রাথমিক ভাবে বেশি মাইনে পাওয়া কর্মীদেরই সম্ভাব্য ছাঁটাইয়ের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এ বছরের অগস্টে আচমকাই সেই সময়ের সিইও পদ থেকে জন ফ্লিন্টের বিদায় ঘোষণা করে এইচএসবিসি। চেয়ারম্যান মার্ক টাকার-এর সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই তাঁকে সরতে হয় বলে ব্যাঙ্কিং মহলে খবর। আরও জানা যায়, চেয়ারম্যান মার্ক টাকার কর্মী ছাঁটাই করে খরচ কমানোর কথা বলেন। কিন্তু তাতে সহমত হননি জন ফ্লিন্ট। ফ্লিন্ট সরে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সিইও করা হয় নোয়েল কুইনকে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে চেয়ারম্যানের মতবাদে সমর্থন করেছেন বলেই খবর।
আরও পডু়ন: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত আর একটিও গাছ কাটা যাবে না, অ্যারে নিয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
আরও পডু়ন: খাদ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, ধৃত যুবক
তবে এইচএসবিসি-র তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সারা বিশ্বে এই ব্যাঙ্কের প্রায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার কর্মী রয়েছেন।