রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রোমোটার বিতর্ক

১৮ এপ্রিল মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের অংশীদারি কাঠামো স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে জানিয়েছে এইচপিসিএল। তাতে আগের মতোই প্রোমোটারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে, যাঁর হাতে রয়েছে ‘শূন্য’ অংশীদারি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৫
Share:

গত বছর জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এইচপিসিএলে কেন্দ্রের ৫১.১১% অংশীদারি হাতে নিয়েছিল আরেক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি। খরচ করেছিল ৩৬,৯১৫ কোটি টাকা। সেই অর্থে এইচপিসিএল এখন ওএনজিসির শাখা সংস্থা। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচটি ত্রৈমাসিকে ওএনজিসিকে প্রোমোটারের স্বীকৃতি দেয়নি এইচপিসিএল। কিন্তু এইচপিসিএলের ডিরেক্টরের শূন্য পদ পূরণের ক্ষেত্রে ওএনজিসির কী ভূমিকা থাকে, সে দিকেই এখন তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।

Advertisement

১৮ এপ্রিল মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের অংশীদারি কাঠামো স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে জানিয়েছে এইচপিসিএল। তাতে আগের মতোই প্রোমোটারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে, যাঁর হাতে রয়েছে ‘শূন্য’ অংশীদারি। ৭৭.৮৮ কোটি শেয়ার থাকা ওএনজিসিকে দেখানো হয়েছে ‘পাবলিক শেয়ারহোল্ডার’ হিসেবে।

২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এইচপিসিএলে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করেই বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছিল কেন্দ্র। কিন্তু অগস্ট থেকে প্রোমোটার সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়। সেই সময়ে তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পরিষ্কার করেছিলেন যে, এইচপিসিএলের প্রোমোটার ওএনজিসি। এ বছরের গোড়ায় কেন্দ্র আবারও এইচপিসিএলকে বলেছিল ওএনজিসিকে অন্যতম প্রোমোটারের স্বীকৃতি দিতে। তা এখনও হয়নি।

Advertisement

২৮ ফেব্রুয়ারি এইচপিসিএলের ডিরেক্টর (ফিনান্স) পদ থেকে অবসর নেন জে রামস্বামী। সেই পদ পূরণের জন্য এখনও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। তবে ওএনজিসি যে হেতু এইচপিসিএলের মূল সংস্থা, তাই বিধি অনুযায়ী ইন্টারভিউ প্যানেলে তার চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা। অনেকের মতে, সংস্থা হয়তো কাঠামোগত কারণেই শেয়ারহোল্ডিং বদলাতে পারছে না। ডিরেক্টর নির্বাচন করার সময়ে ওএনজিসির সিএমডি শশী শঙ্কর উপস্থিত থাকলে অনেক জল্পনার অবসান হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement