এইচপিসিএলে সরকারের হাতে থাকা ৫১.১১% শেয়ার ওএনজিসি-কে বিক্রি করার বিষয়টি চলতি মাসের মধ্যেই বিবেচনা করে দেখতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, সে ক্ষেত্রে ২৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকায় হস্তান্তর হতে পারে ওই শেয়ার।
ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম তেল বিপণন সংস্থা হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (এইচপিসিএল) কেন্দ্রের অংশীদারির পুরোটাই তেল উৎপাদনকারী অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের (ওএনজিসি) হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভায় বিবৃতি পাঠাচ্ছে অর্থ মন্ত্রকের আওতায় থাকা সরকারি সম্পদ পরিচালনা ও লগ্নি দফতর। ফলে সরকারি সূত্রের দাবি, ‘‘আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য উঠতে পারে।’’
যদি ওই বিলগ্নিকরণে সায় দেয় মন্ত্রিসভা, তা হলে মূল্যায়ন ও হস্তান্তর সংক্রান্ত উপদেষ্টা নিয়োগ করার পথে হাঁটবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সরকারের হাতে থাকা ওই শেয়ারের মূল্যায়ন করার জন্য মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার নিয়োগ করতে পারে ওএনজিসি-ও।
প্রসঙ্গত, বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি একটি বড় মাপের তেল সংস্থা তৈরির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তার পরেই এইচপিসিএল ও ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসিএল) মধ্যে কোনও একটি অধিগ্রহণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে ওএনজিসি।
কিন্তু সংস্থা সূত্রের খবর, তারা দেখেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল বিক্রেতা বিপিসিএল-কে কিনতে হলে তাদের অনেকটাই বেশি পুঁজি ঢালতে হবে। ফলে পাল্লা ভারী হয়েছে এইচপিসিএলের দিকে। আর সেই পছন্দের কথাই তেল মন্ত্রককে জানিয়েছে ওএনজিসি। যে-কারণে বিষয়টি বাস্তবায়িত করার জন্য কোমর বেঁধে এগোচ্ছে লগ্নি দফতর। কয়েক দফা আন্তঃ-মন্ত্রক আলাপ-আলোচনার শেষে বল এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোর্টে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই হস্তান্তর সম্পূর্ণ হবে।