হাজার কোটি লগ্নি সেই সিঙ্গুরেই

হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানকার মহিষটিকরিতে বিশেষ ধরনের কার্বন ব্ল্যাক তৈরির নতুন কারখানা গড়ছেন তাঁরা। পুরনো কারখানাটির ঠিক পাশে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:২১
Share:

সিঙ্গুরে হাজার কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনার কথা জানাল হিমাদ্রি স্পেশ্যালিটি কেমিক্যালস। সেই সিঙ্গুর, যেখানে ন্যানোর কারখানা তৈরি শুরু করেও, জমি আন্দোলনের জেরে ছেড়ে গিয়েছে টাটা গোষ্ঠী।

Advertisement

হিমাদ্রি কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানকার মহিষটিকরিতে বিশেষ ধরনের কার্বন ব্ল্যাক তৈরির নতুন কারখানা গড়ছেন তাঁরা। পুরনো কারখানাটির ঠিক পাশে। কর্মসংস্থান হবে ১,৫০০ জনের। সংস্থার সিইও অনুরাগ চৌধুরী জানান, ‘‘কারখানার প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে বছর খানেকের মধ্যেই। আগামী বছরের এপ্রিলে প্রথম দফার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুই লক্ষ্য।’’

নতুন কারখানায় ৪০টি বিশেষ ধরনের কার্বন ব্ল্যাক তৈরি করবে হিমাদ্রি। যেগুলি এখন বিদেশ থেকে কিনতে হয়। ব্যবহৃত হয় রেসিং গাড়ির টায়ার, ছাঁচে তৈরি বিশেষ রকমের রবারের পণ্য, ফাইবার ও প্লাস্টিকের সামগ্রী, পিভিসির মোড়কে ঢাকা কেব্‌ল ইত্যাদি তৈরিতে। অনুরাগবাবুর দাবি, এই কার্বন ব্ল্যাকের প্রায় ৮০% রফতানি হবে। বিশ্বে যার বাজার প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার। আমেরিকার ক্যাবট কর্পোরেশন, জার্মানির ওরিয়ন, বিড়লা কার্বনের মতো কার্বন ব্ল্যাক তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি কারখানার অন্যতম হয়ে ওঠাই লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

Advertisement

সিঙ্গুরে হিমাদ্রি প্রথম কারখানাটি তৈরি করে ২০০৫ সালে। সেখানে সাধারণ মানের কার্বন ব্ল্যাক তৈরি হয়। বছরে ১.২ লক্ষ টন। এ ছাড়া রাজ্যে আরও তিনটি কারখানা রয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত লগ্নি ১,৭০০ কোটি বলে জানান অনুরাগবাবু।

তাঁর দাবি, নতুন কারখানায় বছরে আরও ২ লক্ষ টন কার্বন ব্ল্যাক তৈরি হবে। আশা, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে আয় হবে ২,০০০ কোটি টাকা। তবে নতুন কারখানাটি তৈরির পরে তা ঠেকতে পারে প্রায় ৫,০০০ কোটিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement