—প্রতীকী ছবি।
কখনও সংস্থার লোগো, কখনও নকশা, কখনও বা ভাষা— সবই নকল করে কুরিয়ার প্রতারণার জাল ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সম্প্রতি ডিএইচএল কুরিয়ার সংস্থার নাম করে বিপুল সংখ্যক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত কয়েক দিনে সিঙ্গাপুর, ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের মতো দেশে কুরিয়ার কেলেঙ্কারির একাধিক খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়েছে। শুধুমাত্র বহুল প্রচারিত এই কুরিয়ার সংস্থার ‘স্টাইল’, ‘ফন্ট’, ভাষা নকল করে নয়, তাদের লোগোটির হলুদ রংটিও অদ্ভুত ভাবে নকল করে প্রতারণা চালানো হয়েছে। সবথেকে বিপজ্জনক প্রতারণাটি হল কিউআর কোড সংক্রান্ত। বিষয়টি নিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে ওই সংস্থা।
কোনও পণ্য পৌঁছে দিতে না পারলে বা ঠিকানায় গিয়ে তা ফিরে এলে সাধারণত কুরিয়ার সংস্থাগুলি থেকে ফোন করে বা বার্তা পাঠিয়ে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হয়। ‘মিস ডেলিভারি’ সংক্রান্ত একটি নোট পাঠানো হয় মোবাইলে বা ই-মেলে। ডিএইচএল কুরিয়ার সংস্থার ক্ষেত্রে ‘মিস ডেলিভারি নোট’ ছাড়াও একটি অতিরিক্ত পরিষেবা দেওয়া হয়। একটি কিউ আর কোড এবং বিকল্প ডেলিভারির জন্য কী পদক্ষেপ করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশাবলি পাঠানো হয় সংস্থার তরফে। আর এই পদ্ধতিকেই জালিয়াতির হাতিয়ার করেছে প্রতারকেরা। ডিএইচএল সাধারণত একটি টেমপ্লেট ব্যবহার করে, যা একটি মাঝারি পোস্টকার্ডের আকারের হয়। প্রতারকেরা জালিয়াতি চালাতে এর প্রতিলিপি তৈরি করে। ডিএইচএলের নাম করে কিউআর কোড পাঠিয়ে গ্রাহকদের আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই প্রতারণা হাত থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে কয়েকটি সতর্কবার্তা দিয়েছে ডিএইচএল। সংস্থা জানিয়েছে ডেলিভারি নোটে যে কিউআর কোড থাকবে, তা স্ক্যান করলে সরাসরি ডিএইচএল-এর ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবেন গ্রাহক। জাল ডেলিভারি নোট হলে তা অন্য কোনও ওয়েবসাইটের হদিস দেবে। গ্রাহককে সতর্ক হয়ে সেই ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থা। এ ছাড়া কুরিয়ার সংস্থাটি জানিয়েছে, পুনরায় পণ্য পাঠানোর জন্য তারা বাড়তি কোনও টাকা দাবি করে না। আয়ারল্যান্ড থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে ডিএইচএল জানিয়েছে, ‘‘ডিএইচএলের ডেলিভারির ‘নট হোম কার্ড স্ক্যাম’ প্রতারণার বার্তাগুলি যে ভাবে সমাজমাধ্যমে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে আমরা সচেতন।’’