প্রতীকী ছবি
আত্মনির্ভরতার কথা বলে টানা পাঁচ দিনের প্যাকেজ ঘোষণায় আদতে কতটা সুরাহা দেওয়া হল, তা নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। তবে কল-কারখানার উৎপাদনে প্রাণ না-ফেরালে যে অর্থনীতিকে বাঁচানো মুশকিল, তা বিলক্ষণ জানে কেন্দ্র। তাই এ বার ‘চ্যাম্পিয়ন সেক্টর’ চিহ্নিত করে সেই কাজে নামতে চাইছে তারা। বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন শিল্পোন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের সচিব গুরুদাস মহাপাত্রের দাবি, ‘চ্যাম্পিয়ন’ ক্ষেত্রের আওতায় চামড়া, রত্নালঙ্কার, সৌরবিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প শক্তি, ওষুধ, বস্ত্র চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে লগ্নিতে উৎসাহ দিতে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দেওয়া হবে। কেমন সেই সহায়তা, তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি।
মহাপাত্রের দাবি, ‘‘আশা করছি আগামী মাসগুলিতে একগুচ্ছ নীতি, সহায়তা, লগ্নি সংক্রান্ত নানা ঘোষণা শোনা যাবে। লকডাউনের আগে যেখানে ছিলাম, সেখানে ফিরে যাওয়াই প্রথম কাজ।’’ যদিও সংশ্লিষ্ট মহল মার্চে কারখানায় উৎপাদন ২০.৬% সঙ্কুচিত হওয়ার হিসেব দেখিয়ে বলছে, লকডাউন শুরু হয়েছে মার্চের শেষের দিকে। ফলে করোনার কামড় এত গভীর হওয়ার কারণ তার ঢের আগে থেকে চলা অর্থনীতির ঝিমুনিও। যে কারণে বেকারত্ব চড়া।
মহাপাত্র অবশ্য উৎপাদনের জমি হারানোর জন্য ঠারেঠোরে দুষেছেন চিনকেও। বলেছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশীয় উৎপাদনকে পোক্ত করা নয়, কী ভাবে দেশীয় লগ্নিকারীদের উৎসাহ দেওয়া যায়, তা-ও।’’