প্রতীকী ছবি।
এত দিন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি চাইছিল করোনা প্রতিষেধকের জিএসটি ৫% থেকে শূন্যে নামানো হোক। কারণ, রাজ্যকেই ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য প্রতিষেধক কিনতে হচ্ছিল। কিন্তু সেই কর কমানো নিয়ে আপত্তি ছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, সকলের জন্য প্রতিষেধক কেন্দ্রই কিনবে। এখন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি বলছে, আর তো রাজ্যকে প্রতিষেধক কিনতে হবে না। কেন্দ্রই সব কিনবে। এ বার তা হলে মোদী সরকারই ঠিক করুক, তারা কতটা জিএসটি মেটাতে চায়!
করোনার প্রতিষেধক, ওষুধ এবং অন্যান্য উপকরণের উপরে জিএসটি কমানো নিয়ে জিএসটি পরিষদের গত বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তাই শনিবার ফের পরিষদের বৈঠক বসতে চলেছে। ইতিমধ্যে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে কয়েকটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি মন্ত্রিগোষ্ঠী সুপারিশ করেছে, প্রতিষেধকের জিএসটি-র হার আগের মতো ৫ শতাংশই থাকুক। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা যা শূন্য করার দাবি করছিলেন। কিন্তু শনিবারের বৈঠকের আগে তাঁরাই বলছেন, এখন থেকে দেশে উৎপাদিত টিকার ৭৫% কেন্দ্রই কিনবে। জিএসটি-র হার নিয়ে তাই কেন্দ্রেরই মাথাব্যথা হওয়া উচিত। তবে অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর-সহ বাকি উপকরণে রাজ্যগুলি আগের মতোই জিএসটি শূন্যে নামানোর দাবি তুলবে বলে সূত্রের খবর।
এর পাশাপাশি অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো, রেস কোর্সে জিএসটি নিয়েও পৃথক একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ২৫ মে তা গঠন হলেও গুজরাতের অর্থমন্ত্রী নিতিন পটেলের নেতৃত্বে সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর এখনও কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি।