কোনও রাজ্যে এমন একটা রেস্তোরাঁর নাম বলুন তো, যারা জিএসটি চালুর পরে খাবারের দাম কমিয়েছে!
সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্নটা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। উত্তরও দিয়েছেন নিজেই, একটাও না। সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাও একমত, এর আগে রেস্তোরাঁগুলির উপরে করের বোঝা কমলেও তারা খাবারের দাম কমায়নি। উল্টে আগে যা দাম ছিল, তার উপরে জিএসটি চাপিয়েছে।
সারা দেশ থেকেই এই নালিশ মিলছিল। আবার উল্টো দিকে করের বোঝা কমানোর দাবি তুলছিল রেস্তোরাঁগুলি। শুক্রবার জিএসটি পরিষদের সিদ্ধান্ত, এসি, নন-এসি সমস্ত রেস্তোরাঁয় জিএসটি এ বার ৫%। কিন্তু আগে মেটানো করের টাকা (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) ফেরত মিলবে না। দিনে ৭,৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘরভাড়ার হোটেলের রেস্তোরাঁতেও জিএসটি ৫%। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ফেরতের সুবিধা নেই। এর বেশি ভাড়ার হোটেলের রেস্তোরাঁয় কর ১৮%। সঙ্গে থাকছে আগে মেটানো করের টাকা ফেরতের সুবিধা।
জিএসটি-তে কর কমার সুবিধা ক্রেতাকে না-দেওয়া বন্ধ করতে কার্যত এটিই কেন্দ্রের প্রথম সিদ্ধান্ত। যদিও অরুণ জেটলি একে সেই তকমা দিতে রাজি নন। এত দিন বাতানুকূল রেস্তোরাঁয় জিএসটি ছিল ১৮%, না-হলে ১২%। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, অনেক রেস্তোরাঁয় কিছুটা বাতানুকূল, কিছুটা সাধারণ অংশ রয়েছে। কোন আনাজ বা রান্নার তেল কোথায় ব্যবহার হচ্ছে, কী ভাবে হিসেব রাখা সম্ভব? ১৮% জিএসটি নিয়েও অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা।
আজ পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পূর্ব-ভারতের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলির সংগঠনের সভাপতি সুরেশ পোদ্দার বলেন, ‘‘আমরা খুশি।’’