বিল বাকি বিএসএনএলের

বিদ্যুৎ সংযোগ না কাটতে চিঠি রাজ্যগুলিকে

স্থায়ী কর্মীদের বেতনে দেরি হয়েছে। কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের আর্থিক সুবিধা অনিয়মিত। কয়েক মাস ধরে বিদ্যুতের বিলও সময়ে মেটাতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত ও পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০২:১৩
Share:

স্থায়ী কর্মীদের বেতনে দেরি হয়েছে। কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের আর্থিক সুবিধা অনিয়মিত। কয়েক মাস ধরে বিদ্যুতের বিলও সময়ে মেটাতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল। সেই বকেয়া না মেলায় দেশে সংস্থার বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ ও অফিসে লাইন কেটে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। যার জেরে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা। এই অবস্থায় অন্তত ভোটের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আর্জি জানাল টেলিকম দফতর (ডট)।

Advertisement

রাজ্য বিদ্যুৎ কর্তাদের দাবি, ডটের চিঠি পাওয়ার পরে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস মিলেছে বকেয়া দ্রুত মেটানোরও। যদিও প্রশ্ন উঠছে, বিল বকেয়া থাকলে লাইন কাটা দস্তুর হলেও, ফোনের মতো জরুরি পরিষেবায় সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল কি না। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি কর্তারা। আর সারা দেশে সংযোগের ছবিটা এখনও স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি ডটের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পিএম) সঞ্জীব গুপ্ত চিঠিতে বলেছেন, বিএসএনএল সরকারি দফতর, সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি ভোটে জরুরি পরিষেবা দেয়। তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে সংস্থা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি তাঁরা দেখছেন। কিন্তু বিল মেটাতে ‘সামান্য’ দেরি হওয়ায় বণ্টন সংস্থাগুলি সংযোগ কাটছে। এতে শুধু সরকারি নয়, ব্যাহত হচ্ছে নির্বাচনের কাজও। তাই লাইন না কাটার আর্জি।

Advertisement

সংস্থা সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কিছু এক্সচেঞ্জ বসে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ ও টেলি সংস্থার স্থানীয় কর্তারা কথা বলে সমস্যা মেটাচ্ছেন। এতে সময় লাগছে। তবে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে সরাসরি স্পষ্ট নির্দেশ না থাকলে, ভবিষ্যতে ফের এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা বিএসএনএল কর্তাদের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তাই সার্বিক ভাবে রাজ্যগুলিকে এই আর্জি জানিয়েছে ডট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement