সম্প্রতি সম্পত্তি বিক্রি করে কিংবা ভাড়া দিয়ে আয় বাড়ানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ৮০,০০০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য ২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা চিহ্নিত করে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ইতিমধ্যেই রাজকোষে এসেও গিয়েছে ৫৬,০০০ কোটি টাকা। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে কিনিয়েছে কেন্দ্র। এ বার রাজকোষে অর্থের ব্যবস্থা করতে আরও এক ধাপ এগোল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মূল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন সম্পদ চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। যা বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ আসতে পারে রাজকোষে।
এই সমস্ত সম্পত্তি চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নীতি আয়োগকে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে তালিকা জমা দেবে তারা। সরকারি সূত্রের খবর, মূলত সংস্থার জমি এবং কিছু স্থাবর সম্পত্তি চিহ্নিত করা হবে। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘সম্পদ চিহ্নিত করবে নীতি আয়োগ। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মধ্যে আলোচনার পরে সেগুলি বিক্রির ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।’’
সম্প্রতি সম্পত্তি বিক্রি করে কিংবা ভাড়া দিয়ে আয় বাড়ানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। তবে এ বার শুধু ঋণগ্রস্ত বা রুগ্ণ সংস্থা নয়, যে সমস্ত সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি ভাল সেগুলির সম্পত্তিও চিহ্নিত করা হবে। এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি পবন হংস, স্কুটার্স ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান নিউজপ্রিন্ট, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ রয়েছে সেই তালিকায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এর মধ্যে যে সমস্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ হবে, তাদের সম্পত্তি চিহ্নিত করে তাকে মূল সংস্থার থেকে পৃথক করে দেওয়া হবে। প্রথমে সেই জমি ও বাড়ি বিক্রি করা হবে। পরের ধাপে হবে বিলগ্নিকরণ।