বিএসএনএলে স্বেচ্ছাবসরই, ক্ষুব্ধ ইউনিয়ন

কাউকে ছাঁটাই করা হবে না বলে দাবি করলেও, বিএসএনএলের সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব মেনে নিলেন সংস্থা পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনায় কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের (ভিআরএস) প্রস্তাব দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৪
Share:

কাউকে ছাঁটাই করা হবে না বলে দাবি করলেও, বিএসএনএলের সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব মেনে নিলেন সংস্থা পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনায় কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের (ভিআরএস) প্রস্তাব দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, ইচ্ছুক কর্মীদের দেওয়া সেই প্রস্তাব হবে আকর্ষণীয়। যদিও ক্ষুব্ধ কর্মী ইউনিয়ন জানিয়েছে, সেই প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করবে তারা। তাঁদের অভিযোগ, আসলে সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে এ ভাবেই কর্মী সঙ্কোচনের কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র ও সংস্থা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরাও। বিএসএনএল এবং এমটিএনএল, দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দুরবস্থার জন্যই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে তোপ দেগে কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের পরেই বিএসএনএলে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হবেন।

Advertisement

ক’দিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা দু’টিকে চাঙ্গা করার নানা পন্থা নিয়ে দানা বাঁধছে জল্পনা। কর্মীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর থেকে কমিয়ে ৫৮ করার কথাও উঠে এসেছে। বুধবার বেশি রাতে শ্রীবাস্তব টুইটে জানান, ছাঁটাই বা অবসরের বয়স কমানোর ভাবনা তাঁদের নেই। তবে বিএসএনএল এবং টেলিকম দফতর (ডট) যে পুনরুজ্জীবন প্রকল্প তৈরি করছে, তাতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় ভিআরএস প্রকল্প রয়েছে। আছে ৪জি স্পেকট্রাম দেওয়ার কথাও।

তবে ভিআরএস নিয়ে আপত্তি তুলে বিএসএনএল কর্মী ইউনিয়নের দাবি, এর আগে এই পথে হেঁটে এমটিএনএলকে চাঙ্গা করা যায়নি। ৪জি স্পেকট্রাম না দিয়ে কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করাতেই প্রতিযোগিতায় সংস্থা পিছিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

Advertisement

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শিল্পপতি বন্ধুদের ফায়দা করে দিতে সংস্থা দু’টিকে তুলে দিতে চাইছেন। ভোটের পরে বিএসএনএলের ৫৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই হবেন। তাঁর তোপ, ‘‘সরকারি সংস্থা ধ্বংস করছে সরকার। আইএল অ্যান্ড এফএসকে বাঁচাতে স্টেট ব্যাঙ্ক, আইডিবিআইকে বাঁচাতে জীবন বিমা নিগম এবং গুজরাত স্টেট পেট্রোলিয়ামকে রক্ষা করতে ওএনজিসির ক্ষতি করা হয়েছে।’’ এই সব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের টাকায় ডুবতে বসা সংস্থাগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement