প্রতীকী ছবি।
জল্পনা ছড়িয়েছিল, হয়তো স্বস্তির বার্তা মিলবে। কিন্তু শুক্রবার ঘণ্টা দুয়েক বৈঠক করলেও, আর্থিক সঙ্কটে নড়বড়ে টেলিকম শিল্পের জন্য ত্রাণ দেওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না টেলিকম দফতরের (ডট) সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক শাখা ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স কমিশন (ডিসিসি)।
ডটের নিয়মে আয়ের নতুন হিসেবের (এজিআর) ভিত্তিতে টেলি সংস্থাগুলিকে তাদের বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটানোর জন্য অক্টোবরে তিন মাস সময় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সব মিলিয়ে তা প্রায় ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। এ দিনের বৈঠকের আগে ভোডাফোন আইডিয়া ফের কেন্দ্রকে স্পষ্ট জানায়, জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ না-মিললে ঝাঁপ বন্ধ করবে তারা। এ দিনও টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশের সঙ্গে দেখা করেন সংস্থার এমডি-সিইও রবীন্দ্র টক্কর। এর আগে এই শিল্পের আর্থিক সমস্যা ও সাহায্যের বিস্তারিত প্রস্তাব দিয়ে টেলি সচিবকে চিঠি দিয়েছেন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজ়ও।
টেলিকম দফতরের কর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রকের আমলা, নীতি আয়োগের সিইও প্রমুখ ডিসিসির সদস্য। এ দিন বৈঠকের পরে অবশ্য ডটের কর্তাদের দাবি, এজিআর ও বকেয়া নিয়ে নয়, বিভিন্ন প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগ ও ভারত নেট প্রকল্প নিয়ে সেখানে কথা হয়েছে! যা শুনে অনেকের বক্তব্য, সংস্থা বাঁচলে তবে তো টেলিকম প্রকল্প হবে!
যদিও বৈঠকে উপস্থিত আর এক সূত্রের দাবি, এজিআর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে সংস্থাগুলির এজিআর সংক্রান্ত আরও তথ্য চায় ডট। তাই এ দিন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত না-হওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ভোডাফোন, এয়ারটেল বা সিএওআই। তবে সূত্রের খবর, ডিসিসি ফের বৈঠকে বসবে। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে টেলি শিল্প।