আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই আমানতকারীরা যাতে ঋণ পান, তার জন্য এ বার ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে সাহায্য করবে গুগল। আমানতকারীর সংখ্যা বাড়াতেও গুগলের সহায়তা পাবে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি।
দিল্লিতে সংস্থার একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে গুগলের ‘নেক্সট বিলিয়ন ইউজার ইনিশিয়েটিভ’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সিজার সেনগুপ্ত মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আমরা (গুগল) চারটি ভারতীয় ব্যাঙ্ক- ফেডেরাল ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ও কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সঙ্গে অংশীদারিত্বে পৌঁছেছি। আরও বেশি সংখ্যায় ভারতীয় ব্যাঙ্ককে আমরা ওই সহায়তা দিতে চাইছি।’’
গুগলের লক্ষ্য, ভারতে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের সকলকেই ব্যাঙ্কের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার আওতায় এনে ফেলা। এর ফলে ব্যাঙ্ক ঋণ অনেক সহজে ও দ্রুত পেতে পারবেন আমানতকারীরা। কত দ্রুত? গুগলের দাবি, আবেদন করার পরের মুহূর্তেই।
সিজারের কথায়, ‘‘ভারতের মতো দেশে যেখানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে খুব দ্রুত, সেখানে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী হবে।’’
আরও পড়ুন- গুরু ও গুগল
আরও পড়ুন- পেটিএম ইউজারদের তথ্য পিএমও-তে পাচার? দাবি স্টিং অপারেশনের
ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় অর্থ লেনদেনকে সহজতর করতে গত বছর একটি পেমেন্ট অ্যাপ চালু করেছিল গুগল। তার নাম- ‘তেজ’ (হিন্দিতে যার অর্থ- দ্রুত গতি)। ভারতে ইতিমধ্যেই চালু সরকারি মদতপুষ্ট পেমেন্ট অ্যাপ ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ (ইউপিআই)-এর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে গুগলের অ্যাপ ‘তেজ’ এ দেশে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় জনপ্রিয়ও হয়েছে। সমীক্ষক সংস্থা ‘ক্রেডিট সুইস’ জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাঙ্কের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় গুগলের এই অনুপ্রবেশ আগামী পাঁচ বছরে আরও পাঁচ গুণ বাড়বে। মঙ্গলবার ওই অ্যাপের নতুন নাম হয়েছে ‘গুগল পে’।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে গুগলের এই উদ্যোগ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে ভারতের পেটিএম, চিনের আলিবাবা ও মার্কিন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের মতো পেমেন্ট সংস্থাগুলিকে।
সিজার অবশ্য জানিয়েছেন, শুধু ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিই নয়, এ ব্যাপারে ভারতের পেমেন্ট সংস্থাগুলির সঙ্গেও অংশীদারিত্বে যেতে রাজি আছে গুগল।