ধরাশায়ী: বুধবার ঘর্ণিঝড় ‘আমপান’এর প্রভাব পড়েছে শিল্পশহর হলদিয়ায়। ঝড়ে ভেঙে গিয়েছে একটি ভোজ্য তেল কারখানার ছাউনি। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া একটু পরিষ্কার হতেই শ্রমিকেরা অবশ্য বেরিয়ে পড়েছেন কর্মস্থলের উদ্দেশে। —নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবে ব্যাহত হচ্ছে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের জাহাজ চলাচল। করোনার জেরে এমনিতেই বন্দর দু’টি দিয়ে পণ্য চলাচলের পরিমাণ কমেছে। গত দু’মাসে মূলত জ্বালানি তেল, এলপিজি, জরুরি ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল রাখার কয়লা আমদানি হয়েছে। আমপানের দাপটে তাতেও ধাক্কা লেগেছে।
বন্দর সূত্রের খবর, সাগরে জাহাজ নোঙর করার পর হুগলি নদীর বিশেষ চ্যানেল দিয়ে বন্দরে আনতে ভিটিএমএস নামে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে। তা বুধবারের ঝড়ে বিকল হয়ে গিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা মারফত জাহাজ চলাচল চালু রেখেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে বন্দরে আসার জন্য সাগরের কাছে স্যান্ডহেডে জমা হওয়া সমস্ত জাহাজকে আগেই অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল বন্দর। যতগুলি জাহাজকে বন্দরে রাখা হয় সম্ভব সেগুলিকে এনে রাখা হয়েছিল। কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে নোঙর করা জাহাজ, বার্জের বিশেষ কিছু ক্ষতি হয়নি বলে বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে বন্দরে বহু টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। ৮০ থেকে ১০০টি গাছও উপড়ে গিয়েছে।
বন্দর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার ডকগুলি ঘুরে দেখেন। এ দিন থেকেই জাহাজে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। তবে রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় পণ্য বাইরে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কলকাতা থেকে একটি জাহাজ এ দিন বেরিয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যায় হলদিয়া থেকেও দু’টি জাহাজ পণ্য নামিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।