অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সোনার দোকানে গ্রাহকেরা। ছবি: পিটিআই।
সোনার দাম কমতে থাকায় শুক্রবার অক্ষয় তৃতীয়ার বাজারে বিক্রি নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছিল গয়না ব্যবসায়ীদের। উৎসাহ বাড়ে ক্রেতারও। কিন্তু আচমকাই কলকাতায় খুচরো পাকা সোনা (১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট) রাতারাতি ১৩৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় তৈরি হয় উদ্বেগ। তবে স্বর্ণ শিল্পমহলের দাবি, দাম বাড়লেও ব্যবসা হয়েছে ভাল। একাংশ বলছেন, ওজনের নিরিখে নয়, টাকার অঙ্কে আগের বারের থেকে ব্যবসা হয়েছে প্রায় ২০% বেশি। ছোট হোক বা বড়, সব দোকানেই উপচে পড়েছে ভিড়।
আশঙ্কার চোরাস্রোত অবশ্য ছিলই। কারণ, ২২ এপ্রিলের ৭৩,৯০০ টাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার খুচরো সোনা নামে ৭২,৪০০ টাকায়। শুক্রবার ফের তা ৭৩,৭৫০ হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে দাম যতটা কমেছিল, এক দিনে প্রায় ততটাই বেড়েছে। এই উত্থান কোথায় গিয়ে থামে, প্রশ্ন থাকছেই।
ন্যাশনাল জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে বলেন, “এ দিন বিশ্ব বাজারে সোনার আউন্স একলপ্তে প্রায় ৬০ ডলার বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে দেশে। অশান্ত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি সোনার চাহিদা বাড়িয়ে দামকে আরও ঠেলে তুলতে পারে। তবে এ দিন অনেক ক্রেতাই হাত খুলে কিনেছেন।’’ বনগাঁর ব্যবসায়ী বিনয় সিংহ জানান, ‘‘দাম কমায় কয়েক দিন ধরে গয়না বিক্রি বাড়ছিল। এ দিন আরও বেড়েছে।’’ সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের কর্ণধার শুভঙ্কর সেনের দাবি, ‘‘এ বার অক্ষয় তৃতীয়ায় বিক্রি আগের বারের থেকে প্রায় ২০% বেড়েছে টাকার অঙ্কে। সোনার পরিমাণের নিরিখে নয়। কারণ, কম সোনায় তৈরিগুলিরই চাহিদা ছিল বেশি। একাংশ নভেম্বর বা ডিসেম্বরের বিয়ের গয়নাও কিনেছেন।’’
ছোট দোকানগুলির সংগঠন বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার বলেন, “ছোট ব্যবসায়ীদের বিক্রিও ভাল হয়েছে। আমার দোকানে সকাল ৮টা থেকে ক্রেতা এসেছেন। বিক্রি প্রায় ২০% বেড়েছে। তবে দাম এ ভাবে বাড়তে থাকলে এর পরে কী হবে জানি না।’’