-ফাইল ছবি।
সোনা ঝরছে, ঝরে পড়ছে! আমেরিকার মুদ্রা ডলারের ‘দাদাগিরি’ বেড়ে যাওয়ার ফলে।
ডলার আরও দামি হয়ে গিয়েই ফেলে দিচ্ছে সোনার দাম, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সোনা আর সোনায় নেই পুজোর দু’সপ্তাহ আগে। দামে। হুড়মুড়িয়ে পড়েছে সোনার দাম। সোমবারের পর মঙ্গলবারও। পাকা ও গয়না, দু’ধরনের সোনারই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বার গোটা সেপ্টেম্বরেই সোনার দাম পড়েছে, মাঝে দু’-চার দিন বাদ দিয়ে। ফলে, পুজোর আগে এ বার সোনা কেনার হিড়িক পড়ে যেতে পারে দোকানে দোকানে।
সোমবার প্রতি ১০ গ্রাম (২৪ ক্যারাটের) সোনার দাম নেমে হয়েছিল ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। গত সপ্তাহের চেয়ে দাম কমেছিল ১৫০ টাকা। মঙ্গলবার আরও কমে গেল হলুদ ধাতুর দাম। পৌঁছল ৪৬ হাজার ১৬২ টাকায়। আগের দিনের চেয়ে কমল দু’হাজার টাকারও বেশি।
তবে এই কমতে থাকার গতি খুব তাড়াতাড়ি থেমে যেতে পারে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তাঁরা বলছেন, ‘‘এখনই সোনায় বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়।’’
গত বছর এক দিন প্রতি ১০ গ্রাম (২৪ ক্যারাটের) সোনার দাম উঠেছিল ৫৭ হাজার টাকার উপরে। ফলে, সেই দামের নিরিখে মঙ্গলবার সোনার দাম কমল ১০ হাজার ২০০ টাকারও বেশি।
শুধুই সোনা নয়, রুপোর দামও কমার ধারাবাহিকতাও বজায় থেকেছে এই সেপ্টেম্বরে। সোমবার অবশ্য রুপোর দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতায় এক কিলোগ্রাম ওজনের রুপোর দর কমে হয় ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাস কয়েক আগেও ভারতে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতি ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দর ছিল ৫০ হাজার টাকার উপরে। করোনাকালে সেই মূল্যবৃদ্ধিতে এই ব্যবসায় যুক্তরা তেমন লাভ পাননি। কারণ, গয়না বা ধাতব সোনা নয়, লগ্নিপণ্য হিসেবে তার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ে গিয়েছিল দাম। তার ফলে চাপ বেড়েছিল ক্রেতারও। এখন উৎসবের মরসুম এগিয়ে আসায় খুচরো বিক্রেতাদের কাছে সোনার চাহিদা বাড়ছে। দামও সর্বকালীন উচ্চতার তুলনায় এখন ১২ শতাংশের বেশি নীচে। ফলে ক্রেতাদের কাছে সোনা এবং গয়নার চাহিদা বেড়েছে। খুচরো বিক্রেতারা উৎসবের মরসুমের আগে মজুত ভাণ্ডার ভরার কথা ভাবছেন। এর ফলে সোনার চাহিদা ও আমদানি বাড়ছে। আর তাতেই নিম্নমুখী সোনা। তবে উৎসবের সময়ে চাহিদা খুব বেশি তৈরি হলে দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। সেই কারণে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটাই সোনা কেনার উপযুক্ত সময়।