—প্রতীকী ছবি
‘গোল্ড অক্টোবর ফিউচার্সের’ নিরিখে সর্বকালীন উচ্চতায় উঠল সোনার দাম। বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর মাল্টি কমডিটি এক্সচেঞ্জে (এমসিএক্স) ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতু। গত এক সপ্তাহে এখানে প্রতি ১০ গ্রামে ২ হাজার ৯০০ টাকা বেড়েছে সোনার দাম। আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্ক ৫০ বেসিস পয়েন্ট দর কমাতেই এই প্রভাব বলে জানা গিয়েছে।
সোনার দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখনই রুপোর বাজারে দেখা গিয়েছে বৈপরীত্য। ‘সিলভার ডিসেম্বর ফিউচার্সের’ নিরিখে ৯২ হাজার ২২১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রুপো। সাদা ধাতুটির দামে ০.১৯ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। যা প্রায় ১৭২ টাকা। গত সাত দিনে অবশ্য সাদা ধাতুর দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ হাজার ৯০০ টাকা।
সোনার দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ়ের অনুজ গুপ্ত। তাঁর কথায়, আমেরিকার অর্থনীতিতে আশার আলোর দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সুদের হার কমিয়েছে আটলান্টিকের পাড়ের ওই দেশ। অন্য দিকে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে চিন। যার জেরে দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দর।
গত সপ্তাহে আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্ক সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের জেরে দুর্বল হতে পারে শ্রম বাজার। কিন্তু তা সত্ত্বেও আগামী দিনে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আরও সুদ কমাতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সে ক্ষেত্রে সোনার দরে উল্টো ছবিও দেখা যেতে পারে।
ভারতীয় ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে উৎপাদনের পারচেজ়িং ম্যানেজার ইনডেক্স বা পিএমআই নম্বর অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে কম রয়েছে। আমেরিকার ভোক্তা আস্থার তথ্যতেও নিম্নগতি লক্ষ করা গিয়েছে।
তবে আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্কের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক সুদের হারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। এতে যে আর্থিক বৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ হবে, তা একরকম মেনেই নিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েক জন শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ফেডারেল ব্যাঙ্কের গভর্নর পাওয়েল। সেখানে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব সোনার দামের উপর পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।