ঋণ পেতে ঘুম ছুটছে গয়না শিল্পের

আস্থায় টান, দরাজ হতে নারাজ ব্যাঙ্ক

পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব মোদী কাণ্ডে গয়না শিল্পের প্রতি আস্থায় যে চিড় ধরেছে, তা স্পষ্ট স্টেট ব্যাঙ্কের এমডি দীনেশ কুমার খাঁড়ার কথাতেই।  সরাসরি ওই প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেও তিনি বলেন, সেই চিড় জোড়া না লাগলে সমস্যা পুরোপুরি মেটা কঠিন।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৮ ০৪:৩৫
Share:

নীরব ছায়ায় টান পড়েছে আস্থায়। তাই কেন্দ্র চাইলেও এখনই গয়না ও হিরে শিল্পকে আগের মতো দরাজ হাতে ঋণ দিতে রাজি নয় ব্যাঙ্কগুলি। যদিও নীরব মোদীর নাম না করেও সাম্প্রতিক জালিয়াতির দায় ব্যাঙ্কের কাঁধেই চাপাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব রীতা তেওটিয়া।

Advertisement

শুক্রবার মুম্বইয়ে জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের (জিজেইপিসি) অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর আর্জি, ঋণের অভাবে গয়না ও হিরে শিল্প যাতে সমস্যায় না পড়ে, তা দেখুক ব্যাঙ্কগুলি। রীতা তেওটিয়া বলেছেন, এই শিল্পের সঙ্গে বহু ছোট-মাঝারি সংস্থা জড়িয়ে। উঠে এসেছে বহু মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত থাকার প্রসঙ্গও।

কিন্তু এ সব সত্ত্বেও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব মোদী কাণ্ডে গয়না শিল্পের প্রতি আস্থায় যে চিড় ধরেছে, তা স্পষ্ট স্টেট ব্যাঙ্কের এমডি দীনেশ কুমার খাঁড়ার কথাতেই। সরাসরি ওই প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেও তিনি বলেন, সেই চিড় জোড়া না লাগলে সমস্যা পুরোপুরি মেটা কঠিন।

Advertisement

গয়না ও হিরে ব্যবসায়ীদের অবশ্য অভিযোগ, একটি মাত্র ঘটনার ভিত্তিতে পুরো শিল্পকে সন্দেহের চোখে দেখছে ব্যাঙ্কগুলি। অথচ তাদের অনুৎপাদক সম্পদে গয়না শিল্পের অংশ মাত্র ১%। আস্থা ফেরাতে যে তাঁরা মরিয়া, সেই ইঙ্গিত দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা বলেছেন জিজেইপিসি-র চেয়ারম্যান প্রমোদ অগ্রবাল। সংগঠনের এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর সব্যসাচী রায় জানান, গয়না ও হিরে ব্যবসায়ীদের পরিচয় এবং ব্যবসার তথ্য দিয়ে ‘মাই-কেওয়াইসি ব্যাঙ্ক’ পোর্টাল তৈরির কথা। ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাঙ্কগুলি যেখান থেকে ব্যবসায়ীর তথ্য জানতে পারেন।

বেলজিয়ামের অ্যান্তোয়ার্প ওয়ার্ল্ড ডায়মন্ড সেন্টারের সঙ্গে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের তথ্য আদানপ্রদানের জন্যও চুক্তি করেছে জিজেইপিসি। বিদেশে যাঁর কাছে ব্যাঙ্ক টাকা পাঠাচ্ছে, তিনি আদৌ হিরে বা গয়না ব্যবসায়ী কি না, তাঁর ব্যবসা কী অবস্থায়, এই সব খতিয়ে দেখাই তার লক্ষ্য। তাতেও খাঁড়া অবশ্য বলেন, এই সব প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়ীরা কতটা পালন করছেন, তা যাচাই করা জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement