নোট সঙ্কট। জিএসটি। ৫০ হাজার টাকার উপরে গয়না কিনলে আধার বা প্যান দাখিলের নিয়ম। একের পর এক ফাঁড়া কাটিয়ে এ বার ধনতরসে ১০ শতাংশ বেশি ব্যবসার আশায় বুক বাঁধছে রাজ্যের স্বর্ণশিল্পমহল। আসন্ন বিয়ের মরসুমও বিক্রিতে ইন্ধন জোগাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
তবে বাজার সূত্রে খবর, রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে দীপাবলিতে পোশাক বা গয়না হাত খুলে কেনার মতো টাকা এখনও মানুষের হাতে নেই। অন্য দিকে ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে আধার বা প্যান দাখিলের নিয়ম ওঠায় পশ্চিমবঙ্গে গ্রামাঞ্চলের ক্রেতার গয়না কেনাকাটা অনেকটাই বেড়ে যাবে, দাবি বাজার সূত্রের।
অগস্ট থেকেই ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি দামি গয়না কিনলে, গ্রাহকের কাছ থেকে প্যান-আধার জমা নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়। আর এতেই এ বার মার খেয়েছে পুজো ও নবরাত্রির বাজারও। ৬ অক্টোবর এই নিয়ম শিথিল হয়। আর এতেই প্রাণ পেয়েছে রাজ্যের স্বর্ণশিল্প। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কর্তা বাবলু দে বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বছর অন্তত ১০% বেশি ব্যবসা হবে বলে আশা।’’
ধনতরাসের আগে শেষ রবিবারে রাজ্যে বাজারের ছবিই এর প্রমাণ বলে দাবি করেন বাবলুবাবু। সেনকো গোল্ড-এর অন্যতম কর্তা শুভঙ্কর সেনের দাবি, নিয়মের ফাঁস আলগা হওয়ায় গ্রামে বিক্রি বাড়বে। কারণ সেখানে অনেকে কাগজপত্র দিতে হবে বলে পিছিয়ে যেতেন। এখনও সিংহভাগ বাজার গ্রামাঞ্চলের দখলে।