—প্রতীকী চিত্র।
মাঝে কয়েকটি ব্যতিক্রমী দিন এলেও সোনার দাম বৃদ্ধি এখন কার্যত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার অন্যথা হল না সোমবারও। দেশের বাজারে নতুন শিখরে পা রাখল সোনা। আর এক দামি ধাতু রুপো পার করল ১ লক্ষ টাকা। গয়নার ধাতুর দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপণিগুলিতে এখন ক্রেতাদের পা কমই পড়ছে। চল বেড়েছে পুরনো সোনা পুনর্ব্যবহার করে গয়না গড়ার এবং হালকা গয়না কেনার। তার উপরে মল মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এতদ সত্ত্বেও দামের এই দৌড়ে হতবাক ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
সোমবার কলকাতায় ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট খুচরো পাকা সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩৫০ টাকা। ৩% জিএসটি যোগ করে ৯১,০০০.৫০ টাকা। গয়নার হলমার্ক সোনা ৮৪,০০০ টাকায় পৌঁছেছে। কর নিয়ে ৮৬,৫২০ টাকা। প্রত্যেকটিই নতুন রেকর্ড। অন্য দিকে, এক কেজি খুচরো রুপো এই প্রথম কর ছাড়াই ১ লক্ষ টাকার মাইলফলক ছুঁয়েছে। ৩% কর যোগ করলে দাম ১.০৩ লক্ষ। খুচরো রুপো ৯৯,৯০০ টাকা। করের হিসাব কষলে ১,০২,৮৯৭ টাকা। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এই সব ধাতুর দাম অনেকটাই বিশ্ব বাজারের উপরে নির্ভর করে। শুল্ক যুদ্ধের আবহে সেখানকার অনিশ্চিত অবস্থার কারণে তুলনামূলক ‘নিরাপদ’ লগ্নিপণ্য হিসেবে সেগুলির চাহিদা বাড়ছে। বিশেষত সোনার। গয়নার বিক্রি তেমন না বাড়লেও লগ্নির চাপই বাড়িয়ে তুলছে তার দাম। জনৈক ক্রেতা বলছেন, ‘‘দিন কয়েক আগে গয়না সোনা ৮১,০০০-এর কাছাকাছি নেমেছিল। তখন পুরনো হারের সঙ্গে অল্প সোনা যোগ করে নতুন একজোড়া বালা তৈরি করালাম। জানতাম ফের দাম আরও বাড়বে। মজুরিতে ছাড় মিললেও বিশেষ লাভ হবে না। এখন তো সোনায় হাতই ছোঁয়ানো যাচ্ছে না।’’
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার বলেন, ‘‘মল মাস পড়ে গিয়েছে। গয়নার বিক্রি তলানিতে। তবে নতুন অর্থবর্ষে বিক্রি বাড়বে বলে আশা। পয়লা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়াকে কেন্দ্র করে ক্রেতারা বাজারে ফিরতে পারেন।’’ ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ন মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দীনেশ কাবরার কথায়, ‘‘সোনার দাম বৃদ্ধির সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে রুপোর দাম বাড়ার কথা। ১ লক্ষ টাকা হলেও ধাতুটির দাম সেই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে আগামী দিনে রুপোর দাম আরও বাড়বে বলে মনে করি।’’