Russia Ukraine War

Chip Shortage: যুদ্ধে বাড়ছে চিপের সমস্যা, উদ্বেগ মন্ত্রীর

সেমিকনডাক্টরের সমস্যায় যে সমস্ত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে গাড়ি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৩০
Share:

ছবি: সংগৃহিত

করোনা এবং তার সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল সেমিকনডাক্টর চিপের উৎপাদন। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছিল বিশেষ করে গাড়ি ও বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদনে। ফলে অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে বাজারে চাহিদা কিছুটা ফিরলেও এখনও সেই অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ বার সেই সেমিকনডাক্টর উৎপাদনের সামনে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ। সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, যুদ্ধের জেরে ফের ধাক্কা খেয়েছে ওই সমস্ত চিপের জোগান-শৃঙ্খল। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভারতকেই সেমিকনডাক্টর তালুক হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। এর জন্য উৎপাদন ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্পে বিপুল টাকা খরচ করা হচ্ছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেনে তৈরি হয় নিয়ন এবং হেক্সাফ্লুরোবিউটাডাইন গ্যাস। যা সেমিকনডাক্টর উৎপাদনের লিথোগ্রাফি প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে। যুদ্ধের জেরে এই দুই গ্যাসের সরবরাহ ভাল রকম ব্যাহত হচ্ছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা সেমিকনডাক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জোগান-শৃঙ্খলে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।... করোনার জন্য সারা বিশ্বে আগেই সেমিকনডাক্টর সরবরাহের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যুদ্ধ সেই পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করতে পারে।’’

সেমিকনডাক্টরের সমস্যায় যে সমস্ত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে গাড়ি। করোনার শুরুতে লকডাউনের জেরে যাদের বিক্রি একটা সময়ে শূন্যে নেমে আসে। পরে ধীরে ধীরে বিক্রিবাটা চালু হলেও গাড়ি সংস্থাগুলি জানায়, সেমিকনডাক্টর চিপের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী গাড়ি সরবরাহ করতে পারছে না তারা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গাড়ি বুক করার দু’মাস পার হয়ে গেলেও ক্রেতাকে তা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে করোনার আগেই অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত্রটি কিছুতেই ফিরতে পারছে না আগের অবস্থা। এ বার যুদ্ধের জেরে সেই আতঙ্ক আরও বাড়ল। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ বলছেন, যুদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি থামলেও এখনই জোগান-শৃঙ্খল ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

Advertisement

এই প্রেক্ষিতে চন্দ্রশেখর জানান, সেমিকনডাক্টর ও ডিসপ্লে যাতে দেশেই তৈরি হতে পারে এবং তার উপরে ভর করে বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনেও গতি বাড়ে, সেই চেষ্টাই করছে সরকার। এগুলি তৈরির ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে সাহায্যের জন্য ৭৬,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়লে বিশ্বে বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনে ভারতের অবদান বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement