Coronavirus in India

শিল্পের ক্ষত গভীর মুডি’জ়ের পূর্বাভাসে

চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়িয়ে ১১.৫% করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:২৩
Share:

লকডাউন শিথিল হলেও চাহিদা যে ঘুরে দাঁড়ায়নি, তা ফের দেখাল জুলাইয়ের শিল্পোৎপাদন। শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, শিল্পে সঙ্কোচন চলছেই। উৎপাদন কমেছে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ১০.৪%। যার কারণ মূলত খনন (-১৩%), কল-কারখানা (-১১.১%) ও বিদ্যুতের (-২.৫%) সঙ্কুচিত উৎপাদন। টিভি, ফ্রিজের মতো দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের উৎপাদনও কমেছে ২৩.৬%।

Advertisement

সরকারের অবশ্য যুক্তি, করোনার আগের হারের সঙ্গে এর তুলনা না-টানাই ভাল। বরং পরিস্থিতি এপ্রিল, মে ও জুনের চেয়ে কিছুটা শুধরেছে।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই সঙ্কোচন অপ্রত্যাশিত নয়। তবে এ দিন সেই ক্ষত গভীর করেছে মূল্যায়ন বহুজাতিক মুডি’জ়ের হুঁশিয়ারি। তারা চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়িয়ে ১১.৫% করেছে। বলেছে, লকডাউনের ধাক্কা ও বাড়তে থাকা সংক্রমণের জের যে অর্থনীতিকে আশঙ্কার থেকেও বেশি কাহিল করবে, এটা তার স্পষ্ট ইঙ্গিত। মূল্যায়ন সংস্থা কেয়ার রেটিংস সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৮%-৮.২% করে দায় ঠেলেছে কেন্দ্রের ঘাড়ে। তাদের দাবি, সরকার অর্থনীতিক চাঙ্গা করতে দাওয়াই দেবে না ধরেই এই হিসেব।

Advertisement

আশঙ্কার ছবি

• জুলাইয়ে শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমল ১০.৪%।

• এর আগে জুনে তা কমেছিল ১৫.৭৭% (সংশোধিত)।

• কেন্দ্রের দাবি, এই হার করোনার আগের হারের সঙ্গে তুলনা না-করলেই ভাল।

• তবে পরিস্থিতি এপ্রিল, মে ও জুনের চেয়ে জুলাইয়ে কিছুটা শুধরেছে বলেই দাবি তাদের।

• ফিচ, ইন্ডিয়া রেটিংসের পরে ভারতের জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়াল মুডি’জ়ও। সংস্থাটি জানিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে তা কমবে ১১.৫%।

• সেই সঙ্গে এই অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপির সাপেক্ষে ঋণ ৯০ শতাংশে ও রাজকোষ ঘাটতি ৭.৫% হওয়ার আশঙ্কাও জানিয়েছে মুডি’জ়।

অনেকের মতে, শিল্পের ভয় আরও বাড়াচ্ছে এই সব পূর্বাভাস। কারণ, সরকার অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখলেও, এরা অনিশ্চয়তা কমার কথা বলছে না। তার উপরে বেকারত্ব বাড়ছে ও রোজগার কমছে। চাহিদা না-বাড়লে উৎপাদন বাড়বে কী করে? বাড়লেই বা কিনবে কে!

গত এপ্রিল-জুনে জিডিপি বৃদ্ধির হার শূন্যের ২৩.৯% নীচে নামতেই, পুরো অর্থবর্ষে তা সঙ্কোচনের আরও ভয়াবহ পূর্বাভাস দেওয়া শুরু হয়েছে। ফিচ, গোল্ডম্যান স্যাক্স, ক্রিসিল, ইক্রার মতো মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থাগুলির কে নেই তালিকায়। এ দিন মুডি’জ়ের হুঁশিয়ারি যে ভাবে কেন্দ্রের আয় কমছে ও খরচ বাড়ছে, তাতে এ বছর ভারতের ঋণ ছুঁতে পারে জিডিপির প্রায় ৯০%, রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে ৭.৫%।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement