প্রতীকী ছবি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পথে হেঁটে রাশিয়ার অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৬০ ডলারে বাঁধল জি-৭ গোষ্ঠী ও অস্ট্রেলিয়াও। সোমবার থেকে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের তেলে চাপবে পশ্চিমী দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা। সে দিন থেকেই এই দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে সেই দর মানা হবে না বলে শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল মস্কো। উল্টে তাদের হুঁশিয়ারি, যে সমস্ত দেশ দাম বাঁধবে, তাদের তেল সরবরাহই বন্ধ করবে মস্কো। যার জেরে ফের আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় চাপান-উতোর শুরু হওয়ার আশঙ্কা।
আমেরিকা ও ইউরোপের দাবি, দর বাঁধলে ও নিষেধাজ্ঞা চাপলে রাশিয়ার তেল বাজারে আসা পুরো বন্ধ হবে না। ফলে দাম স্থির থাকবে। অথচ রাশিয়া অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখবে না এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া সত্যিই রফতানি বন্ধ করলে অশোধিত তেলের দাম মাত্রা ছাড়াতে পারে। যা নতুন করে তৈরি করবে ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা। আরও মাথাচাড়া দিতে পারে মূল্যবৃদ্ধি। মস্কোও যে কথা জানে, তা পরিষ্কার তাদের হুমকিতেই। যা বলেছে, ‘‘এই বছর থেকে রাশিয়ার তেল ছাড়াই চলবে ইউরোপ।’’
তেলের দর বাঁধার এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ব বাজারে তেলের দর অনেকটা নেমে এসেছে। তা যখন রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, তখন দর বাঁধলে যতটা প্রভাব রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়ত, এখন ততটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই নজর সকলের।