ফাইল চিত্র।
বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি কিস্তিতে মেটাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ১০ বছর সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বকেয়া মিটিয়ে ব্যবসাকে স্থিতিশীল করার জন্য ভোডাফোন-আইডিয়ার (ভিআইএল) কাছে সেই সময়ও যথেষ্ট কি না, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস।
ব্যবসায় বড় অঙ্কের ক্ষতির পাশাপাশি, স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বিপুল বকেয়া রয়েছে ভিআইএলের কাঁধে। এই অবস্থায় প্রথমে বাজার থেকে ২৫,০০০ কোটি টাকা তোলার কথা ঘোষণা করলেও, সোমবার পুঁজি সংগ্রহের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি চাওয়া হবে। মাসুল বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এখনই যে তারা জমি ছাড়তে নারাজ, পুঁজি তোলার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেই বার্তা দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি।
তবে ফিচের বক্তব্য, ভিআইএলের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে বকেয়া মেটাতে ১০ বছরের সময়সীমাও সম্ভবত যথেষ্ট নয়। বরং সংস্থাটির দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য বাজারে অংশীদারি কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে জিয়ো এবং এয়ারটেলের অংশীদারি বাড়বে বলে মনে করছে মূল্যায়ন সংস্থাটি।
এ দিকে, সংস্থার শীর্ষ কর্তা রবীন্দ্র টক্করকে তিন বছর বেতন না-দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে ভিআইএল। গত অগস্টে তিন বছরের জন্যই ওই পদে আসেন তিনি। সংস্থার প্রস্তাব, টক্করের কাজের খরচ বহন করবে তারা। তবে বেতন এবং পরিচালন পর্ষদ বা কোনও কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও অর্থ পাবেন না তিনি।